পৃষ্ঠাসমূহ

Tuesday, April 30, 2013

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্বাক্ষী- ওয়ার সিমেট্রি চট্টগ্রাম- বর্তমানে পর্যটকদের প্রিয় জায়গা।




ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-১

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-২

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-১৩

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-৪

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-৫

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-৬

জানা যায় ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গভীর জলের পোতাশ্রয় চট্টগ্রাম এলাকা ছিল আরাকান সামরিক তৎপরতার অন্যতম ঘাটি ও উল্লেখযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র বা হাসপাতালমূলত এই হাসপাতালে মৃত ব্যক্তিদের জন্য এ সমাধিস্থলটি সৃষ্ট করা হয়প্রথমে দিকে এই সিমেট্রিতে ছিল ৪০০ সশস্ত্র সদস্যের সমাধিস্থল

Monday, April 29, 2013

পারকী সমূদ্র সৈকত। চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের আরেক নাম।




 
পারকী সৈকত থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য

সমুদ্রে স্পীড বোট রাইডিং

পারকী সৈকতের প্রধান আকর্ষণ- ঝাউবন

 পারকী সমূদ্র সৈকত চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ার থানার অর্ন্তগত একটি উপকূলীয় সমুদ্র সৈকত স্থানীয় ভাষায় এটিকে পারকীর চরআর পর্যটনীয় ভাষায় পারকী বীচ" বা সৈকতবলেচট্টগ্রাম শহর থেকে পারকী বীচেরদূরত্ব প্রায় ২৫ কিঃমিঃযেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা

Saturday, April 27, 2013

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত- চট্টগ্রামের আরেক সৌন্দর্যের নাম।




                        পতেঙ্গা সৈকতে ঝিনুক মার্কেট

                    পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের এক অপরূপ দৃশ্য

                     পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হতে সূর্যাস্তের দৃশ্য



                     লোকে লোকারন্য পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত

পতেঙ্গা চট্টগ্রাম শহরের ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি সমূদ্র সৈকতএটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত পতেঙ্গা চট্টগ্রাম শহরের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রপতেঙ্গা যাওয়ার পথে অনেক বড় বড় কারখানা চোখে পড়বেচোখে পড়বে মেরিন একাডেমিযাওয়ার পথের অনেকটা জুড়েই পাশে থাকবে কর্ণফুলি নদী১৯৯১ সালের ঘূর্ণীঝড়ে এই সৈকতটি ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়

Friday, April 26, 2013

ফয়'স লেক, পর্যটন নগরী চট্টগ্রামের প্রাণ।



 
ফয়'স লেক। পর্যটন নগরী চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পাহাড়তলীতে অবস্থিত। এই পর্যটন এলাকাটি বলতে গেলে বিশ্বনন্দিত। প্রায় ৩২০ একর জমির উপর এটি স্থাপিত। পাহাড়ে ঘেরা এই লেকটি আগে ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। বর্তমানে এই লেকটিকে কনকর্ড নামক বাংলাদেশের এক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আরো আধুনিক ও মনোমুগ্ধকরভাবে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য এটিকে সাজিয়েছেন এবং এর নামকরণ করা হয়েছে ফয়'স লেক কনকর্ড (এমিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড)।

Thursday, April 25, 2013

সাভার ট্রাজেডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম.খা. আলমগীরের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে তার অযোগ্যতার।






ম.খা. আলমগীর। বাংলাদেশের আলোচিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পদমর্যাদায় তিনি অনেক বড় মাপের একজন মন্ত্রী। কিন্তু দেশে যে কোন ধরণের ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর তাহার বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া কোনো সমস্যার সমাধান এর পক্ষে নয় উল্টা আক্রমণাত্মক।

Wednesday, April 24, 2013

সাভারের রানা প্লাজা নামক ভবন ধ্বস। আবারো বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম হল বাংলাদেশ।

গতকাল সাভারের রানা প্লাজা নামক ভবন ধ্বস। আবারো বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম বাংলাদেশ। জীবিত উদ্ধার ১৪০০, আহত প্রায় হাজার খানেক আর মৃতের সংখ্যা ১৮০ ছাড়িয়ে গেছে।  বাংলাদেশ এরকম ঘটনা নতুন কিছু নয়। তাই এতে বিচলিত হওয়ারও কিছু নেই।

Monday, April 22, 2013

আজ থেকে শুরু হয়েছে আবার হরতাল। আর হরতাল মানেই সহিংসতার আশংকা।



আজ১৮ দলেরডাকা টানা৩৬ ঘন্টারহরতাল শুরুহয়েছে। হরতালেরপ্রধান ইস্যুদলীয় নেতাদেরমুক্তি। হরতালবাংলাদেশের একটি সাংবিধানিক আন্দোলনের মাধ্যম।জাতীয় ইস্যুতে দেশের স্বার্থ রক্ষায় হরতাল আহবান করা যেতে পারে। আর এ হরতাল প্রতিহত করার সরকারের যে প্রচেষ্ট তা আসলে কি ভাল হচ্ছে? আমার মনে হয় মোটেও ভাল হচ্ছে না। কারণ এতে নৈরাজ্য, সহিংসতার আশংকা বৃদ্ধি হয়। একদল থাকে হরতাল সফল করার প্রচেষ্টায় আরেক দল থাকে তা প্রতিরোধ করায়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্টি হয় ক্রোধ এর, হিংসা এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া তো আছেই। এক পর্যায়ে তা সহিংসতায় পরিণত হয়। আর এ সহিংসতার দরুণ ককোন নেতা কর্মী আহত কিংবা নিহত হলে বিশেষ করে হরতালের সমর্থকদের মধ্য থেকে কেউ হলে ব্যাস্। পরের দিন আবার হরতাল। আর বর্তমানের হরতালে সবসময় বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর থাকে পুলিশি নজর এবং বাঁধা। মিছিল করতে দেওয়া হয়না, সমাবেশ করতে গেলে বাঁধা প্রদান করা ইত্যাদি দেখলে মনে হয় এগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত। হরতাল সমর্থক কিংবা বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা জোর পূর্বক বাঁধা অতিক্রম করতে গেলেই শুরু হয় ধর-পাকড়। তারপর আবার শুরু হয় সেই ধর-পাকড়ে পাকড়াও হওয়া নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবীতে হরতাল কিংবা আন্দোলন। এতে করে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিতে এমন প্রভাব পড়ছে যে মনেই হয়না কখনো এ দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা আজীবন মেয়াদ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন? না, তাদেরও কখনো না কখনো আবার বিরোধী দল হতে হবে। তাহরে তখন তাদের অবস্থা কি হবে একবার কি ভেবে দেখেছেন এই ক্ষমতাসীন দল। হাতে ক্ষমতা আসলেই মানুষ এভাবে ভোলানাথ হয়ে যাওয়া ঠিক না। এতে নিজেরই ক্ষতি। এদেশ স্বাধীন হয়েছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। এদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা অর্জিত হয়েছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তারমানে বুঝতে হবে এদেশের জনগণের ঘাড়ের উপর জোর-জবরদস্তি জরগণ মেনে নিতে পারে না। এরা যেকোন মুহুর্তে আবারো সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়তে জানে। সুতরাং দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমার আহবান, আপনারা সংঘাতের রাজনীতি মন থেকে ধূয়ে মুছে অহিংস রাজনীতির প্রতি জোর দিন। এদেশের সহজ সরল জনগণকে উপহার দিন সুন্দর একটি দেশ। আমরা সুন্দরভাবে, শান্তভাবে এবং নিরাপদে বাঁচতে চায়। মুক্তমনে, স্বাধীনচিত্তে খোলা আকাশের নিচে ঘুরতে চায়। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ যেন একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে আমরা সেরকম বাংলাদেশ চায়।

Sunday, April 21, 2013

আমাদের দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত... (আস্তিক এবং নাস্তিক)

(আস্তিক)
(নাস্তিক)

আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ। বহু প্রাণের বিনিময়ে, বহু ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশ। প্রতিজ্ঞা ছিল সোনার বাংলায় রূপান্তর করার। সোনার বাংলা থেকে যুগের পরিবর্তনের কারণে সেটি এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সোনার বাংলার আর দরকার নেই। কারণ যুগ পাল্টেছে। আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও বেশ পরিবর্তন এসেছে। ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে তুলে দিয়েছেন। সে অনুযায় বর্তমানে বিরোধী দলের প্রধান আন্দোলন হওয়া উচিত ছিল তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু। কিন্তু না, তা আর হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে। এই বিচার করতে গিয়ে এবং রায় নিয়ে সৃষ্ট মত-বিরোধ থেকে রাজনৈতিক ধারা সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় নেয়। কাদের মোল্লার রায়কে নিয়ে শাহবাগে তৈরী হয় গণজাগরন মঞ্চ। আর এই গনজারণ মঞ্চই সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট পাল্টে দেয়। ইসলামী দলগুলোর টনক নড়ে। এই গণজাগরন মঞ্চ হওয়ার আগে কিন্তু বাংলাদেশে আস্তিক বা নাস্তিকের কোন আলোচনা কিংবা সমালোচনা কোনটাই ছিলনা ইসলামী দলগুলোর মধ্যে। হঠাৎ করে দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। বর্তমান ইসলামী দলগুলোর মতানুসারে যারা ইসলামী দলের অনুসারী তারা নাস্তিক আর যারা বিশেষ করে আওয়ামীলীগ কিংবা বাম দল সমর্থক তারা নাস্তিক। আবার দেশের ইসলামীদলগুলোর মধ্যেও আছে মত-বিরোধ। একে অপরকে নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করছেন। আর ব্লগার তো আছেই। প্রিয় পাঠকগণ আপনি যদি ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নাস্তিক। তাদের ভাষ্যমতে আমিও একজন নাস্তিক। আসলে ইসলামী দলগুলোর কর্মী পর্যায়ে অনেকেই আছেন, শুধু অনেকে না প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মীই কিন্তা জানে না ব্লগার কি এবং ব্লগ ই বা কি। আমি একজন মুসলিম হিসেবে এইটুকু বলতে পারি যে ইসলামে কোনকিছু না জেনে কারো সম্পর্কে কোনকিছু বলা ঠিক না। নিজ চোখে দেখে বা নিজের কানে শুনলে তখন সেটার সমালোচনা করা যায়। আবার ইসলাম এও বলে যে তোমরা জীবিত কাউকে কাফের বলো না, কেননা ঐ ব্যক্তি মৃত্যুর আগ মুহুর্তেও হয়তো ইমান আনতে পারে। একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন কে আস্তিক বা কে নাস্তিক। এমন অনেক মানুষ পৃথিবীতে আছে যারা সারাজীবন এমন সব অপকর্মে লিপ্ত থাকে যে তাদের দেখলেই ঘৃণা লাগে, কিন্তু মৃত্যুর মুহুর্তে দেখা যায় এ রকম অনেকেরই কালিমা নসীব হয়। পরিশেষে এইটুকু বলব, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই ধর্মে হিংসা, বিদ্বেষ এর স্থান নেই। ইসলাম বলে তোমাকে যদি কেউ একটা থাপ্পড় দেয় এবং তোমার সেই থাপ্পড়ের জবাব দেওয়ার সাহস, শক্তি থাকার পরও যদি তুমি তাকে ক্ষমা করো তাহলে তুমিই প্রকৃত ইমানদার। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে হেদায়াত দান করুন।

Sunday, April 14, 2013

স্বাধীন দেশে থেকেও আজ আমরা পরাধীনতার চেয়েও অধম... একে কি স্বাধীনতা বলে?



আমরা বাঙ্গালী। এই কথাটি গর্ভ করে বলার ছিল। ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়। মানলাম একটা দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হলে সে দেশ সবকিছু গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগে। তারপর তো সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর এই দিনে এসে আজ আমরা কি দিখছি। দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে কোন অবস্থাতেই বলা চলে না আমরা স্বাধীন জাতি। আমরা মুসলিম হয়ে দেশে আজ দাঁড়ি রাখতে পারি না। দাঁড়ি দেখলে পুলিশ পাকড়াও করছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বলে। আমরা হিন্দু হয়ে মাথায় সিন্দুর কিংবা ধুতি পরে ঘর থেকে বের হতে পারি না। আমরা সংখ্যালঘু বলে আমাদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে চোরাগুপ্তভাবে। কারণ আমরা এদেশে সংখ্যালঘু বলে। আসলে এদেশটা মুসলিম প্রধান দেশ। কিন্তু হিন্দু বলেন, বিধর্মী বলেন, খ্রিষ্টান বলেন, বৌদ্ধ বলেন আর মুসলিম বলেন সবার সৃষ্টিকর্তা তো এক আল্লাহই। আল্লাহকে যদি এক মানা হয় তাহলে কেন এই হিংসা-বিদ্বেষ। একজন মুসলিম হয়ে অন্য ধর্মের লোকদের ঘৃণা করা মানে কিন্তু খুব খারাপ। আজ আমরা ধরতে গেলে পুরোপুরি পথভ্রষ্ট। আর এই পথভ্রষ্টের কারণেই আমাদের এই দুর্গতি। স্বাধীন দেশে থেকেও হিংসা-বিদ্বেষ এর কারণে আজ একজন আরেকজনের আক্রমণের শিকার হচ্ছি প্রতিনিয়ত। স্বাধীন দেশে থেকে স্বাধীনতা কি জিনিষ আমরা ভুলে গেছি। এখন পরিস্থিত এমন যে দেশে যখন যে সরকার আসে তারাও ক্ষমতার অপব্যবহার করতে শুরু করেছে। সংবিধান থেকেও নাই বলে মনে করতে হচ্ছে। হরতাল, অবরোধ কিংবা যেকোনো প্রকারের দাবী নিয়ে আন্দোলন সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু আজকাল হরতাল কিংবা কোন আন্দোলনের ডাক দিলে সরকারের তরফ থেকেই নেওয়া হয় আন্দোলন প্রতিহত করার ব্যবস্থা। এতে করে সহিংসতা দেশে দিনের পর দিন বাড়তেই চলেছে। ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত আমাদের মত সাধারণ মানুষের। সরকার বলেন আর বিরোধী দল বলেন অথবা আন্দোলনকারী দল বলেন সবাই থাকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এতে দেখা যায় যে, সরকারের প্রতিহতের মুখে আন্দোলনকারীর কোন কর্মী কিংবা কোন সাধারণ মানুষের ছোট-বড় যে রকমই হোক কোন ক্ষতি হলেই প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ঝাপিয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা অন্যের উপর। তারা আরো কয়েকজনের ক্ষতি করে দেয়। পাল্টা জবাবে ক্ষতিগ্রস্থ দল আবার দলবল নিয়ে চালায় আক্রমণ। এটাই আমাদের আজকের স্বাধীনতা। এ দেশের আইন-শৃঙ্খলার এতই অবনতি ঘটছে যে, এখন মানুষ খুন করা তেমন কোন বড় অন্যায় ও না। শুধু একটি রাজনৈতিক দলের ছায়াতলে থাকতে পারলেই হয়। এটাই আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা।

আমরা নতুন প্রজন্মের দাবী এ রকম স্বাধীনতা আমরা চাই না। আমরা চাই শান্তি। আমরা চাই দেশে যত রাজনৈতিক দল আছে তারা যেন সুষ্ট রাজনীতিতে ফিরে আসে। তারা যেন সহিংতার পথ ছেড়ে দেয়। আমরা এ দেশটাকে শান্ত-সৃষ্ট দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে পেশ করতে চায়। দাঙ্গাবাজ হিসেবে নয়। আমরা যেন আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে নিয়ে গর্ভ করতে পারি।.....

বাংলাদেশের নাম এই ভূ-খন্ডে কেয়ামতের আগেরদিন পর্যন্ত থাক সেই কামনাই করি।

Friday, April 12, 2013

৭১ ও বর্তমান বাংলাদেশ। এদেশের স্বাধীনতার পিছনে মূল ভূমিকা কার?



১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় এ দেশমুক্তিযুদ্ধ দেখার সেই সৌভাগ্য আমার হয়নিকারণ তখন আমি দুনিয়াতেই আসিনিকিন্তু বই পুস্তক হতে, লোক মুখে এবং বিভিন্ন মিডিয়া হতে স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা হলেও অবগত হয়ছিসেই ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ দেশ কারো ভাষণ কিংবা ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়নিস্বাধীন হয়েছে দীর্ঘ নয় মাস সম্মুখ যুদ্ধের মোকাবেলা করার পরএই দীর্ঘ নয় মাসে প্রাণ হারিয়েছ অনেক বাঙ্গালী অনেক মা-বোন হারিয়েছে তাদের সম্ভ্রম৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এবং ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছেআমি মনে করি এই স্বাধীনতার প্রকৃত দাবীদার তারাই, যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলকিন্তু আমার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই শুনে আসছি বাংলাদেশের দু'টো দল তাদের মধ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এই দাবী নিয়েএকদল বলছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনেই স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়া হয়, আবার আরেক দল বলছে জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র, চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা বলুন দেশে কি এখনো মানুষ বোকা আছে? কারো ঘোষনা দেওয়ার মাধ্যমে কি একটি দেশ স্বাধীন হয়ে যায় এটা আপনারা বিশ্বাস করেনভাগ্য ভাল যে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানি জীবিত নাইকিংবা তার কোন ওয়ারিশ ও নাইথাকলে আজকের দিনে আমি মনে করি একমাত্র তার পরিবারই দাবী করতে পারতো যে, জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী'ই দেশকে স্বাধীন করার পিছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেনদেশবাসীর ভাবনা আমি জানিনা, আমার মনে হয় বর্তমান বাংলাদেশের এই প্রেক্ষাপটে এসে আমাদের সেই পুরোনো বিরোধ ভুলে গিয়ে যার যা কৃতীত্ব তাকে দেওয়া উচিতমুক্তিযুদ্ধে কম বেশি অনেকেই অবদান রেখেছএই মুহুর্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলে দেখতে পাবেন অনেকে আছে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি অথচ তাদের নামে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পত্র আছেমুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হয়েছেন অনেকেইআবার এও দেখবেন অনেক সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধ আছে যাদের কোথার কোন রকম অন্তর্ভূক্তি নাইঅনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন এরকম মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশে এখনো অনেক পাওয়া যাবেসুতরাং এই মুক্তিযুদ্ধ নিয়া বেশী ঘাটাঘাটি না করে দেশটা যেহেতু স্বাধীন হয়েছে এবার স্বাধীনতা রক্ষা করার পালা বর্তমানে আমরা এমন এক পরিস্থিততে আছি, মনে হয় না আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিকসকাল কর্ম লক্ষ্যে ঘর থেকে বের হলে চিন্তায় থাকতে হয় যে রাত্রে নিজ ঘরে ফিরতে পারবো কিনাকিছুদিন আগে বিরোধী দলীয় হরতাল চলছিলআমার চাচা আসছে কাতার থেকেউনাকে আনতে গেলাম রিক্সায় করে আর আসার সময় একটি সি.এন.জি. নিয়ে চলে আসছিলামতখন দুপুর ২ টাপুরো চট্টগ্রাম নগরী অতিক্রম করে ঘরেরকাছাকাছি আসতেই শুরু হল আক্রমণঅনেক বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলামকিন্তু ততক্ষণে গাড়ী ভাঙ্গা হয়ে গেছেএই হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতাহরতালের মধ্যে একজন রোগী হাসপাতাল নিয়ে যেতে যেতে পথেই মারা যাবে, তবু হাসপাতালে যেতে দেওয়া হবে নাএটাই আমাদের বহু কষ্টার্জিত স্বাধীনতাআমরা এর পরিত্রাণ চাইআমরা চাই নিজের মত করে বাঁচতে, নিজের মত করে চলতে এবং স্বাধীনভাবে ঘুরতে ফিরতেআমরা আর পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চাই নাআসুন এখনই সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রিত হওয়ার

Thursday, April 11, 2013

এনার্জি ড্রিংকস মাদকাসক্তির কালো দরজা উম্মুক্ত করে...



সফট ড্রিংকসের পর এখন বাজার সয়লাব হয়ে গেছে নানা রকমের এনার্জি ড্রিংকসে। টেলিভিশনের পর্দায় প্রিয় তারকাদের দিয়ে তৈরী এসব ড্রিংকসের আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন যখন দর্শক দেখে, তখন ছেলে-বুড়ো নির্বিশেষে সবারই হয়তো মনে হয় এটা খেলে এক্ষুণি বোধ হয় অনুরিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে যাবে। “একটু বুঝে শুনে খাও” কখন কি হয় বলা যায় না। কিংবা এই ড্রিংকস খেলে ধরাকে সরা জ্ঞান করতে পারবেন ইত্যাদি রীতিমতো আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করে নির্মিত এসব বিজ্ঞাপনগুলো কিছু মানুষকে আকৃষ্ট করছে তাতে সন্দেহ নেই। তারা দেদারসে খাচ্ছেন এসব এনার্জি ড্রিংকস নামের তথাকথিত শক্তি ড্রিংকস যা মাদকাসক্তির কালো দরজাকেই উম্মুক্ত করে।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের মতো উন্নয়শীল দেশগুলো এনার্জি ড্রিংকস নিয়ে মাতামাতি করলেও উন্নত বিশ্ব ইতোমধ্যেই এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হয়ে একের পর এক ব্রান্ডকে নিষিদ্ধ করছে। ১৯৯৭ সালে আমেরিকার বাজারে আসে “রেড বুল” নামের একটি এনার্জি ড্রিংক যা বাজারের ৪৭% ভাগই দখল করে ফেলে। কিন্তু বছর কয়েক আগে ফ্রান্সে ১৮ বছর বয়সী এক কিশোর বাস্কেটবল খেলার পর ৪ ক্যান রেড বুল খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে ফ্রান্স সরকার রেড বুলকে নিষিদ্ধ করে। ময়না তদন্ত রিপোর্টে কিশোরটির মৃত্যুর কারণ হিসেবে বলা হয় উচ্চ রক্তচাপের সঙ্গে এনার্জি ড্রিংকসের উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন মিশে ‌‘সাডেন এডাল্ট ডেড সিনড্রোম’ থেকেই এ মৃত্যু হয়েছে।

কী আছে এনার্জি ড্রিংকসে?

এনার্জি ড্রিংকসে ক্ষতিকর অন্যান্য উপাদানের পাশাপাশি আছে উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন যা মৃগীরোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের দেহে ৪০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন যতেষ্ট। একজন নারীর ক্ষেতে এ মাত্র ৩০০ মিলিগ্রাম। অথচ একটা এনার্জি ড্রিংকসের ক্যানেই থাকে ৩৬০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন। তাহলেই বুঝতে পারছেন একের পর এক এনার্জি ড্রিংক যখন আপনি গিলতে থাকেন তখন কী অবস্থি হয়! ক্রমাগতই উচ্চমাত্রার ক্যাফেইন নিতে থাকলে নার্ভাসনেস, বদমেজাজ, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, পেশির টান, অনিদ্রা, মাথাব্যাথা এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে।

এছাড়া এনার্জি ড্রিংকসের আরেকটা ক্ষতিকারক দিক হলো সন্তানধারণে জটিলতা। যেসব নারী বা পুরুষ এনার্জি ড্রিংকসে অভ্যস্ত তাদের সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হ্রাস পায় এবং গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া দুর্বল শিশু বা সময়ের আগেই বাচ্চা হয়ে যাওয়ার প্রবণতাও দেখা দিতে পারে। এছাড়া কোমল পানীয়ের অন্যান্য ক্ষতিকর সবদিকই এর মধ্যে রয়েছে।

বিনা খরচে ফ্যাক্স পাঠান...



তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেট আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে পড়েছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন কাজে-কর্মে লেগেছে ইন্টারনেটের হাওয়া। তাইতো এখন প্রচলিত মেইলের পরিবর্তে ই-মেইল, প্রচলিত ফ্যাক্সের পরিবর্তে ই-ফ্যাক্স, প্রচলিত কমার্সের পরিবর্তে ই-কমার্স, প্রচলিত লার্নিং সিস্টেমের পরিবর্তে ই-লার্নিং ইত্যাদি নতুন নতু শব্দের সাথে আমাদের পরিচয় হচ্ছে। বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলে সংযুক্ত হওয়ার ফলে আমাদের জন্য খুলে গেছে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার। দ্রুত বাড়ছে আমাদের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা। তাছাড়া মোবাইল কোম্পানীগুলোর কল্যাণে ইন্টারনেট এখন পৌঁছে গেছে শহর থেকে একেবারে গ্রামে-গঞ্জে। তাই এখন যে কোনো জায়গায় বসে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, ই-মেইল চেক করা অনেক সহজ হয়ে গেছে। ই-মেইল আমাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে অনেক ত্বরান্বিত করেছে। মুহুর্তের মধ্যেই বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে চিটি, ফাইল, ফটো সহ যেকোনো ইলেকট্রনিক ডকুমেন্ট চলে যাচ্ছে অপর প্রান্তে প্রায় বিনা খরচে। তাই প্রচলিত ডাক ব্যবস্থার উপর মানুষের নির্ভরশীলতা এখন অনেকটাই কমে গেছে। আমাদের দৈনন্দিন ব্যবসায়িক ও ব্যক্তিগত যোগাযোগের আরেক প্রধান মাধ্যম ফ্যাক্স। প্রচলিত পিএসটিএন টেলিফোনের ফ্যাক্সিং এর চাইতে অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী এক নতুন প্রযুক্তি হল ইন্টারনেট ফ্যাক্স বা ই-ফ্যাক্স। তাইতো ইন্টারনেটের বিভিন্ন পরিসেবার মধ্যে যোগ হয়েছে ইন্টারনেট ফ্যাক্সিং-ও। 

ই-ফ্যাক্স

ইন্টারনেট ফ্যাক্স বা ই-ফ্যাক্স ইন্টারনেটের এমন একটি পরিসেবা যার মাধ্যমে আপনি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফ্যাক্স পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে পারেন। এটি প্রচলিত ফ্যাক্স এর প্রায় ৮০ গুণ সাশ্রয়ী এবং অনেক ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই সেবা পেতে পারেন। এই সেবা পাওয়ার জন্য আপনার কোনা ফ্যাক্স মেশিন, ফ্যাক্স মডেম এমনকি কোনো ফোন লাইনেরো প্রয়োজন নেই। শুধু দরকার আপনার একটি ই-মেইল এড্রেস আর ইন্টারনেট সংযোগ। আপনি ই-মেইল এর মতই বিশ্বের যে কোনো স্থান থেকে যে কোনো সময়ে ইন্টারনেটে সংযুক্ত হয়ে এই ফ্যাক্স পাঠাতে এবং গ্রহণ করতে পারেন।

ফ্রি ইন্টারনেট ফ্যাক্স সার্ভিস

ইন্টারনেটে ফ্রি ই-মেইলের মত আপনি বিশ্বের যেকোন দেশ থেকে ফ্রি ফ্যাক্স গ্রহণ করতে পারেন। এমনকি ফ্রি ফ্যাক্স পাঠাতেও পারেন বিশ্বের কিছু নির্দিষ্ট দেশে। এটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য দারুণ উপযোগী। কারণ আমাদের অনেকেরই বিদেশ থেকে ফ্যাক্স আসে এবং সেজন্যে কোনো ফ্যাক্সের দোকান বা কারো অফিসের নাম্বার ব্যবহার করতে হয় যা অনেক ঝামেলার। ফ্রি ইন্টারনেট ফ্যাক্স যা আপনার ই-মেইলে সরাসরি চলে আসবে দিনরাত যে কোনো সময়। তাই এটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য দারুণ উপযোগী।

ফ্রি ফ্যাক্স গ্রহণ করবেন যেভাবে:


eFax দিচ্ছে ফ্রি ইনকামিং ফ্যাক্স নাম্বার।এই ই-ফ্যাক্স ঠিকানায় গিয়ে আপনার নাম, ঠিকানা এবং ই-মেইল এড্রেস দিয়ে সাইন আপ করে আপনার পছন্দমত বেছে নিন আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালী, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, অষ্ট্রিয়া’র মধ্যে যে কোনো একটি দেশের নন-লোকাল ফ্যাক্স নাম্বার। কারণ লোকাল নাম্বার এই ফ্রি সার্ভিসের জন্য প্রযোজ্য নয়। তবে যেহেতু আমেরিকার ফ্যাক্স নাম্বারে বিশ্বের যে কোনো জায়গা থেকে ফ্যাক্স করা সহজ তাই আমেরিকার ফ্যাক্স নাম্বারটি পছন্দ করাই উত্তম। আপনি চাইলে অন্য যে কোনো দেশের নাম্বারও নির্বাচন করতে পারেন। এই ফ্যাক্স নাম্বারে আপনি বিশ্বের যে কোনো দেশ থেকে প্রতি মাসে ২০ পাতা ফ্যাক্স গ্রহণ করতে পারবেন যা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য যতেষ্ট। আপনার আরও বেশি ফ্যাক্স আসার প্রয়োজন হলে ইয়াহু, হটমেইল কিংবা জিমেইল এর একাধিক ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করতে পারেন। তবে এই নাম্বারে আসা ফ্যাক্স দেখার জন্য আপনাকে eFax Messanger নামে একটি ছোট সফটঅয়্যার আপনার কম্পিউটারে ইনস্টল করে নিতে হবে। এই ই-ফ্যাক্স মেসেঞ্জারসাইটে গিয়ে মুহুর্তেই আপনি বিনামূল্যে নামিয়ে নিতে পারেন সফপঅয়্যারটি। তারপর আপনার ফ্যাক্সটি পড়া, প্রিন্ট করা সহ আপনি চাইলে এডিটও করতে পারবেন।

Wednesday, April 10, 2013

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ কি?




আসসালামু আলাইকুম। সবাই আশা করি ভাল আছেন। আমি কিন্তু ভাল নেই। দেশের যে পরিস্থিতি তাতে ভাল থাকি কি করে। বর্তমানে বাংলাদেশে যা শুরু হয়েছে তা সচেতন নাগরিকদের ভাবিয়ে তুলে কিনা জানি না। আমার মত সাধারণ একজন মানুষের মনটাও ছটফট করে ওঠে যখন শুনি অমুকের কর্মী অমুকের গুলিতে নিহত। এই সহিংসতা কেন? কিসের জন্য? হরতালের নামে প্রতিনিয়ত এখন যে ক্ষয়ক্ষতি করা হচ্ছে, ভাংচুর করা হচ্ছে এতে ক্ষতি কি সরকারের হচ্ছে নাকি আমাদের মত সাধারণ জনগণের। আর এখন তো হরতাল মানে হরতালের আগের দিন রাত্রেই ভাংচুর শুরু। জালাও পোড়াও শুরু। বড় বড় নেতারা তাদের ঘরে এসির নিচে বসে একখানা হরতালের ডাক দেয় আর মাঠ পর্যায়ে পিকেটিং করতে নামে খুবই সাধারণ কিছু লোক। এতে ক্ষতিটা হচ্ছে ঐ নির্বোধ সাধারণ লোকগুলোরই। বড় বড় নেতারা থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে। আমরা কি পারি না সহিংসতার রাজনীতি বন্ধ করে অহিংস আন্দোলন করতে? আমরা কি কখনোই পারবো না আমাদের হিংস্রতা বন্ধ করতে? আমরা কি পারবো না বাংলাদেশকে উন্নতির শিখরে পৌঁছাতে? আসুন না আমরা আমাদের চিন্তাধারা বদলায়। আমরা দেশকে নিয়ে ভাবি। দেশের কথা চিন্তা করি। দেশের উন্নতির কথা চিন্তা করি। আমরা সহিংসতা বন্ধ করে, ভাংচুর, জালাও পোড়াও বন্ধ করে দেশটাকে সুন্দর করে সাজানোর কথা ভাবি। উন্নত বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে হলে আমাদের এখনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। অনেক ঘাম ঝড়াতে হবে আমাদের শরীর থেকে। তারপরই আসবে এদেশের শান্তি। হবে সোনার বাংলা। আমরা চাই বাংলাদেশকে বিশ্ব চিনুক। ক্ষুদ্র দেশ হিসেবে বাংলাদেশ হোক সবার জন্য এক উদাহরণ।