পৃষ্ঠাসমূহ

Friday, May 31, 2013

HTML শিখুন :: HTML Tutorial - পর্ব-১ ::









কি কাজে লাগে?
HTML মূলতঃ ওয়েব পেজ তৈরীর কাজে লাগে। আপনি হয়তো ইতোমধ্যেই Microsoft Frontpage বা Macromedia Dearweaver দিয়ে আপনার পুরো ওয়েব সাইটটি তৈরী করে ফেলেছেন, অথচ আপনার HTML ল্যাংগুয়েজ সম্পর্কে খুব একটা ভাল ধারণা নেই। এরকম অনেকে আছেন যারা কিনা HTML ল্যাংগুয়েজ টিকমত পারেনা, অথচ তারা উল্লিখত সফটওয়্যারগুলি ব্যবহার করে সুন্দর সুন্দর অনেক ওয়েব সাইট তৈরী করে ফেলেছেন।

Thursday, May 30, 2013

ভ্যারিয়েবলের ব্যবহার পিএউচপি টিউটোরিয়াল ( :: পর্ব-৩ :: )





কিছু প্রাথমিক কথা

যেকোন ল্যাংগুয়েজ কোডিং করতে গেলেই ভ্যারিয়েবল এবং ফাংশন সম্বন্ধে আপনার ধারণা থাকা দরকার। আমি এই টিউটোরিয়াল এ ভ্যারিয়েবল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনার যদি ভ্যারিয়েবল সম্বন্ধে আগে থেকেই ভাল ধারণা থাকে তবুও এই টিউটোরিয়ালটি একবার চোখ বুলিয়ে নিন। হয়তো নতুন কিছু পেতেও পারেন।

Tuesday, May 21, 2013

এ্যাপাচী, পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল এর ম্যানুয়েল ইন্সটলেশন :: পিএইচপি টিউটোরিয়াল পর্ব-২ ::



 
পিএইচপি, এ্যাপাচি এবং মাইএসকিউএল পৃথকভাবে ইন্সটল করা

অনেক সময় এমন পরিস্থিতি আসতে পারে যে পিএইচপি ট্রায়াড ছাড়াও আপনাকে এ্যাপাচি, পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল এর বাইনারী ডিসট্রিবিউশন বা পৃথক পৃথক ইন্সটলার থেককে ইন্সটল করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা ভাবে এ্যাপাচী পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল এর বাইনারী ভার্সন/ইন্সটলার ডাইনলোড করে নিতে হবে। তবে সক ক্ষেত্রেই ইন্সটলার ডাইনলোড করুন।

Monday, May 20, 2013

পিএইচপি টিউটোরিয়াল- এ্যাপাচি, পিএইচপি এবং মাইএসকিউএল ইন্সটলেশন :: পর্ব-১ ::

পিএইচপি ইন্সটলেশন

কিভাবে পিএইচপি ইন্সটল করতে হয় তা নিয়ে আমি এখানে আলোচনা করব। পিএইচপি ইন্সটল করা মোটেই কঠিন কোন কাজ নয়। তবে একটা ব্যাপার মনে রাখা লাগবে যা হল পিএইচপি কোড রান করতে হল আপনার কম্পিউটারে এ্যাপাচি সার্ভার ইন্সটল করা থাকতে হবে।

Sunday, May 19, 2013

বাংলাদেশের প্রাইভেট ক্লিনিকগুলোতে চলছে চিকিৎসার নামে ডাকাতি...




বাংলাদেশে এখন প্রাইভেট ক্লিনিকের অভাব নেই। যেদিকেই থাকান দেখবেন অনেক বিলাস বহুল দালানে বিলাস বহুল সব ক্লিনিকের সাইনবোর্ড। ডাক্তার মূল কাজ রোগীর সেবা করা। কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখন ডাক্তাররা যারা বিভিন্ন সরকারী মেডিক্যাল এ আছেন তারাও মেডিক্যাল এ সঠিক সময় দেয় কিনা তা আমার বোধগম্য নয়। কোন রকম ইন্টার্নিশিপ পার করতে পারলেই হল। কোন না কোন প্রাইভেট ক্লিনিকের সাথে যুক্ত হয়ে পড়ে তারা। আর তখন থেকেই শুরু হয় তাদের গলা কাটার প্র্যাকটিস। সরকারী মেডিক্যাল কোন রোগী ভর্তি করালে সেখানে ডাক্তারদের ধান্ধা একটু কম হয় সেটা সবার ধারণা। কিন্তু সেখানেও তারা ধান্ধা করে। বিভিন্ন প্রকার টেস্ট দিয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নাম উল্লেখ করে দেয় প্রেসক্রিপশনে। দেখা যায় যে এরকম ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সাথেও রয়েছে মেডিক্যাল অফিসারদের সম্পৃক্ততা। তারা ওখান থেকে কমিশন পায়। আবার প্রাইভেট ক্লিনিকে যখন কোন রোগী ভর্তি করা হয়। ভর্তির সময় তারা এমন আতিথেয়তা দেখায় যে, মন ভরে যায়। কিন্তু ভর্তি হওয়ার পরই বোঝা যায় আসলে তারা কি! গত কাল রাত্রে আমি আমার এক বাড়ীওয়ালা ছোট বোনকে নিয়ে চট্টগ্রামের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে যায়। ক্লিনিকে নিয়ে ভর্তি করানোর সাথে সাথে ডিউটি ডাক্তার আমার ছোট বোনকে চেক আপ করেন। পরে কল দিয়ে একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসা হয়। আসলে আমার ছোট বোনটির বয়স মাত্র ১৪ বৎসর। তার পেটে ব্যাথার কারণে তাকেএ ক্লিনিকে ভর্তি করানো। তার প্রয়োজন ছিল একজন মেডিসিন ডাক্তারের। আমরা অনেক করে বলার পরও ডিউটি ডাক্তার বললেন ম্যাডাম আসুক উনি দেখে যদি না হয় তাহলে উনিই বলবেন কোন বিশেষজ্ঞ দেখাতে হবে। আমরা প্রায় পৌনে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করার পর সেই গাইনী বিশেষজ্ঞ আসেন এবং চেকআপ করে প্রেসক্রিপশনে এমনভাবে লিখেন যে একটি A-4 সাইজের কাগজ পূর্ণ করে ফেললেন মেডিসিন আর টেস্ট দিয়ে। তাকে স্যালাইন দেওয়া হল, ইনজেকশন পুশ করা হলো। ডাক্তার বললেন কিছুক্ষণ দেখেন যদি ভাল না লাগে তাহলে আরো পাওয়ারফুল ঔষধ দিতে হবে। ডাক্তার চলে গেলেন। তিনি যাওয়ার ১ ঘন্টা পরও কোন উন্নতি না দেখে ডাক্তারকে আবার যখন কল দেওয়া হয়, তখন তিনি ডিউটি ডাক্তারকে বলেন আমার ছোট বোনের ইসিজি করার জন্য। ইসিজি করা হয়। ইসিজি রিপোর্টে কি আসছে আমরা তো আর জানি না। কিন্তু ডিউটি ডাক্তার আমাদের বলেন উনার হার্ট এর প্রবলেম হয়েছে। ম্যাডাম বলেছেন উনাকে মেডিক্যাল এ নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরা যখন তাকে রিলিজ নিয়ে নিলাম তখন দেখি ২ঘন্টা ২০ মিনিটে তারা বিল করেছে ৫,২০০/- টাকা। অথচ, যে রুমটাতে আমরা ছিলাম সে রুম দিয়ে অনেক গন্ধ বের হচ্ছিল। পরে আমরা রাতের ১.৩০ টায় আমার ছোট বোনকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যায়। তখন মেডিক্যাল এর সে ওয়ার্ডে আমার ছোট বোনকে ভর্তি করা হয় সে ওয়ার্ডে তিল পরিমাণ জায়গা নেই কোথাও। তারপরও আমরা কষ্ট করে ডিউটি ডাক্তারকে ডেকে চিকিৎসা করার জন্য বলি। তিনি আবার ইসিজি করতে বলেন। ইসিজি রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বলেন তার হার্টের কোন সমস্যা নাই। যদি তার হার্টের সমস্যা আছে কেউ বলে থাকে তাহলে আমি ডাক্তারি ছেড়ে দিব। তখন আমরা তার কাছে একটি সিটের ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করি। তিনি বলেন সেটা সম্ভব হবে না। পরে ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে আমরা স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করায় আবারো। সেখানকার ডিউটি ডাক্তার যিনি ছিলেন তিনি আমার ছোট বোনের অবস্থা দেখে বললেন, এর কি রোগ হয়েছে আর একে কি চিকিৎসা দিয়ে এসেছেন? তখন আমাদের সবার চোখ কপালে উঠে যায়। এরকম হচ্ছে কেন? যেখানে যায় একেক জায়গায় একেক রকম কথা কেন? পরে আর ঘুরাঘুরি না করে ঐ ক্লিনিকেই ভর্তি রেখে আজ সকালে বাড়ী ফিরলাম। এবং অনেক চিন্তা ভাবনা করে বুঝতে পারলাম আসলে ডাক্তারের তাদের ধান্ধা নিয়ে ব্যস্ত। তারা রোগীর সেবা নিয়ে তেমন মাথা ঘামায় না। প্রত্যেক ক্লিনিকে প্রফেসর এবং বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আছেন। কিন্তু আপনার মুখ থেকে যতক্ষণ বের হবেনা বিশেষজ্ঞের কথা তথক্ষণ সেই সাধারণ ডাক্তার দিয়েই চলে চিকিৎসা। এই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশের চিকিৎসা খাত আর ডাক্তারদের রোগী সেবা...

আপনার মজিলা ফায়ারফক্সকে রকেটের গতি এনে দিন।



মজিলা ফায়ারফক্স আমার অতি পছন্দের একটা ব্রাউজার। কিন্তু অনেকেই এক ব্রাউজার অনেক দিন ব্যবহার করতে করতে তা অনেক স্লো হয়ে যায়, এমনকি মাঝে মাঝে হ্যাং করে। এ সমস্যা হবার কারণ, মজিলার ব্যাকআপ ফাইলে প্রচুর হিস্ট্রি, কুকি, সেশন ইত্যাদি জমা হতে থাকে। আমরা যদি এগুলো নিয়মিত পরিস্কার করি তাহলে মজিলা তার আগের গতি ফিরে পাবে এবং অনেক দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে।

Saturday, May 18, 2013

স্টার্ট মেন্যু থেকে তথ্য থুঁজুন-



দরকারি নানা তথ্য খুঁজতে এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে জ্ঞান নিতে ইন্টারনেটে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের (গুগল, ইয়াহু) ব্যহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে ওই সাইটের ঠিকানায় গিয়ে তথ্য খুঁজে নিতে হয়। ছোট একটি কাজের মাধ্যমেই নির্দিষ্ট ওয়েব ঠিকানায় না গিয়ে উইন্ডোজের স্টার্ট মেন্যুতে কাঙ্ক্ষিত বিষয় লিখে এন্টার করলে তথ্য পাওয়া যাবে।

Friday, May 17, 2013

ল্যাপটপের কি-বোর্ডের বাটন নষ্ট হয়ে গেলে যা করবেন-





অনেক সময় বিভিন্ন কারণে ল্যাপটপের কি-বোর্ডের এক বা একাধিক বাটন নষ্ট হয়ে যায়। তখন অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। যেমন, কারও ই-মেইল ঠিকানা বা পাসওয়ার্ডে যদি a থাকে এবং ল্যাপটপের কি-বোর্ডের a বাটনটি নষ্ট হয়ে যায়, তা হলে ল্যাপটপের কি-বোর্ড থেকে a লেখা যায় না। তখন কম্পিউটারের অন-স্ক্রিণ কি-বোর্ডটি খুলে কাজ করতে হয়।

Monday, May 13, 2013

এগিয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‍‍"মহাসেন" আঘাত হানতে পারে আজ বা কাল ।


ঘূর্ণিঝড়জামালামহাসেনধীর গতিতে এগিয়ে আরও শক্তি সঞ্চয় করে সুগঠিত হচ্ছে। বাংলাদেশ সংলগ্ন শ্রীলংকা-ভারত-মিয়ানমার উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আবহাওয়ায় ঝড়ের আগাম বিরূপ প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশসহ ভারত, মিয়ানমার শ্রীলংকায়। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

Friday, May 10, 2013

৬মে বাংলাদেশে আরেকটি অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল


বিগত ৪মে শাপলা চত্তরে প্রাত্তন প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা তাদের দলীয় সভায় বর্তমান সরকারকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেন। পরেরদিন একই জায়গায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ ঢাকা অবরোধ করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হেফাজতে ইসলামীর নেতা কর্মীরা। তাদের শাপলা চত্তরে সমাবেশ করার অনুমতিও প্রদান করা হয়। কিন্তু বিকাল ৫ টার পর থেকে তাদের হঠাৎ করেই ইচ্ছের পরিবর্তন ঘটে।

Tuesday, May 7, 2013

১৮ দলের ২ দিন হরতাল। আবারো সহিংসতার আশংকা...


আজ থেকে শুরু হল ১৮ দলের ডাকা দু'দিনের সকাল সন্ধ্যা হরতাল। হরতালের প্রধান ইস্যু ৫ মে হেফাজতে ইসলামীর কর্মসূচীতে পুলিশি হস্তক্ষেপ এবং হতাহতের ঘটনা। কিন্তু তাদের শুরু হওয়া এই হরতালে হেফাজতে ইসলামও সর্মথন দিয়েছেন। হেফাজতে ইসলাম নারী নেতৃত্বের পরিবর্তন আনতে চায় দেশে।

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হেফাজতের তান্ডবে নিহত হয়েছেন সেনা সদস্য, বিজিবি, পুলিশ সহ ২৯ জন।

আমরা এদের লাটির আঘাতে আর কোন মায়ের বুক খালি হোক তা চাই না
 গত ৫ই মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবরোধ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে আসা হেফাজত বাহিনী সুযোগ পেয়ে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন। কিন্ত বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তা আর সম্ভব হয়নি। পালিয়ে যেতে হয় যারা শহীদী মৃতু্র জন্য ঢাকায় এসেছিলেন।

Monday, May 6, 2013

হেফাজতে ইসলাম ঢাকা ছাড়লেও তান্ডব ছাড়েনি।



হেফাজতে ইসলাম এভাবেই হেফাজত করছেন দেশের এবং ধর্মের
হেফাজতে ইসলাম হঠাৎ করে জেগে উঠা বাংলাদেশের একটি ইসলামী সংগঠনের নাম। তাদের আভির্ভাবের পর হতেই মূলত তাদের জঙ্গীবাদী কার্যক্রমে এখনো অবধি লিপ্ত আছেন। তাদের ভাষ্য মতে তারা যা করছেন তা হলো ইসলামের হেফাজতের জন্য এবং ইসলামের রক্ষার জন্য।

হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ ও আইন শৃঙ্খলা বাহীনির প্রকৃত চেহারা !!!


গতকাল ৫ মে হেফাজতে ইসলামের পূর্ব ঘোষিত ঢাকা অবরোধের দিন ছিল। এ কর্মসূচীতে অংশ নিতে হেফাজতে ইসলাম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও তাদের নেতা কর্মী এবং অনুসারীদের ঢাকা আসতে বলে যে কোন মূল্যে। সবাই আসেনও। তারা বিগত ৬ এপ্রিল এর ঘটনায় মনে করেছিল পুলিশ বাহিনী, ব্যাব বাহিনী, বিজিবি এরা কিছুই করতে পারবে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় বসে তারা তান্ডব চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল।

Sunday, May 5, 2013

বাংলাদেশের রাজনীতির ধারা পরিবর্তন হওয়া উচিত।




আমরা এই রাজনীতি চাই না

আমরা শান্তি চাই
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম গঘতান্ত্রিক দেশ। এদেশের রাজনীতি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চললেও রাজনৈতিক ধারা অন্যান্য দেশের চাইতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই নির্বাচনের পর কোন দল বিজয়ী হলে পরাজিত দল সাথে সাথে মন্তব্য করে বসে এ নির্বাচন সুষ্টু হয়নি।

Saturday, May 4, 2013

আজ হেফাজতে ইসলামের ঢাকা অবরোধ কর্মসূচী...


হেফাজতে ইসলাম। বাংলাদেশের ইদানীং এক প্রকার হঠাৎ করেই উঠে আসা একটি সংগঠনের নাম এবং বর্তমানে সরকার এবং সাধারণ জনগণের কাছে একটি ত্রাসের নাম এই হেফাজতে ইসলাম। এই হেফাজতে ইসলামের নাম শুনলে এখন অনেকেই ভয়ে ঘর থেকে বর হোন না।

দেশে কিসের আন্দোলন হচ্ছে আর কিসের আন্দোলন হওয়া উচিত।



বাংলাদেশে ইদানিং বেশ আলোচিত এই হেফাজতে ইসলাম। তারা ইসলাম রক্ষায় বেশ ভূমিকা পালন করছে। তাদের চলমান আন্দোলন নাস্তিক ব্লগারের বিরুদ্ধে, তাদের আন্দো্লন সরকার পতনের আন্দোলন, তাদের আন্দোলন নারীদের কর্মবিমুখ করার জন্যা ইত্যাদি। এখানে একটি জায়গায় আমি খুব চিন্তিত।

Friday, May 3, 2013

ডুলাহাজা সাফারী পার্ক (উরফে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক)

মেইন রোডের পার্শ্বে সাফারী পার্কের তোরন
সাফারী পার্কের প্রধান ফটক
পার্কে ঢুকতেই চোখে পড়বে এই ম্যাপ

পার্ক পরিদর্শনে দর্শনার্থীর একাংশ
ডুলাহাজারা সাফারী পার্কটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটির অবস্থান কক্সবাজার জেলা সদর হতে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া হতে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে ফাসিয়াখালী রেঞ্জের ডুলাহাজারাতে অবস্থিত। এই পার্কটি প্রথমে মূলত হরিণ প্রজণন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ বিভাগ।

Wednesday, May 1, 2013

বাঁশখালী ইকো পার্ক- প্রকৃতি প্রেমীদের প্রাণ জুড়ানোর মতো স্থান







বাঁশখালী সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিনোদন প্রেমিদের কথা চিন্তা করে ২০০৩ সালে এ ইকো পার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। শুরুর দিকে তেমন কোন পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। যুগের আবর্তে আস্তে আস্তে চারিদিকে এই ইকো পার্কের নাম ছড়িয়ে পড়ায় ইদানিং বেশ ভিড় হচ্ছে পর্যটকদের।

Tuesday, April 30, 2013

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্বাক্ষী- ওয়ার সিমেট্রি চট্টগ্রাম- বর্তমানে পর্যটকদের প্রিয় জায়গা।




ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-১

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-২

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-১৩

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-৪

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-৫

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-৬

জানা যায় ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গভীর জলের পোতাশ্রয় চট্টগ্রাম এলাকা ছিল আরাকান সামরিক তৎপরতার অন্যতম ঘাটি ও উল্লেখযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র বা হাসপাতালমূলত এই হাসপাতালে মৃত ব্যক্তিদের জন্য এ সমাধিস্থলটি সৃষ্ট করা হয়প্রথমে দিকে এই সিমেট্রিতে ছিল ৪০০ সশস্ত্র সদস্যের সমাধিস্থল

Monday, April 29, 2013

পারকী সমূদ্র সৈকত। চট্টগ্রামের সৌন্দর্যের আরেক নাম।




 
পারকী সৈকত থেকে সূর্যাস্তের দৃশ্য

সমুদ্রে স্পীড বোট রাইডিং

পারকী সৈকতের প্রধান আকর্ষণ- ঝাউবন

 পারকী সমূদ্র সৈকত চট্টগ্রাম জেলার আনোয়ার থানার অর্ন্তগত একটি উপকূলীয় সমুদ্র সৈকত স্থানীয় ভাষায় এটিকে পারকীর চরআর পর্যটনীয় ভাষায় পারকী বীচ" বা সৈকতবলেচট্টগ্রাম শহর থেকে পারকী বীচেরদূরত্ব প্রায় ২৫ কিঃমিঃযেতে সময় লাগবে ১ ঘন্টা

Saturday, April 27, 2013

পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত- চট্টগ্রামের আরেক সৌন্দর্যের নাম।




                        পতেঙ্গা সৈকতে ঝিনুক মার্কেট

                    পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের এক অপরূপ দৃশ্য

                     পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হতে সূর্যাস্তের দৃশ্য



                     লোকে লোকারন্য পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত

পতেঙ্গা চট্টগ্রাম শহরের ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি সমূদ্র সৈকতএটি কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত পতেঙ্গা চট্টগ্রাম শহরের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রপতেঙ্গা যাওয়ার পথে অনেক বড় বড় কারখানা চোখে পড়বেচোখে পড়বে মেরিন একাডেমিযাওয়ার পথের অনেকটা জুড়েই পাশে থাকবে কর্ণফুলি নদী১৯৯১ সালের ঘূর্ণীঝড়ে এই সৈকতটি ভয়াবহ ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়

Friday, April 26, 2013

ফয়'স লেক, পর্যটন নগরী চট্টগ্রামের প্রাণ।



 
ফয়'স লেক। পর্যটন নগরী চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পাহাড়তলীতে অবস্থিত। এই পর্যটন এলাকাটি বলতে গেলে বিশ্বনন্দিত। প্রায় ৩২০ একর জমির উপর এটি স্থাপিত। পাহাড়ে ঘেরা এই লেকটি আগে ছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য। বর্তমানে এই লেকটিকে কনকর্ড নামক বাংলাদেশের এক বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান আরো আধুনিক ও মনোমুগ্ধকরভাবে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য এটিকে সাজিয়েছেন এবং এর নামকরণ করা হয়েছে ফয়'স লেক কনকর্ড (এমিউজমেন্ট ওয়ার্ল্ড)।

Thursday, April 25, 2013

সাভার ট্রাজেডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম.খা. আলমগীরের প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে তার অযোগ্যতার।






ম.খা. আলমগীর। বাংলাদেশের আলোচিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পদমর্যাদায় তিনি অনেক বড় মাপের একজন মন্ত্রী। কিন্তু দেশে যে কোন ধরণের ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার পর তাহার বক্তব্য বা প্রতিক্রিয়া কোনো সমস্যার সমাধান এর পক্ষে নয় উল্টা আক্রমণাত্মক।

Wednesday, April 24, 2013

সাভারের রানা প্লাজা নামক ভবন ধ্বস। আবারো বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম হল বাংলাদেশ।

গতকাল সাভারের রানা প্লাজা নামক ভবন ধ্বস। আবারো বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম বাংলাদেশ। জীবিত উদ্ধার ১৪০০, আহত প্রায় হাজার খানেক আর মৃতের সংখ্যা ১৮০ ছাড়িয়ে গেছে।  বাংলাদেশ এরকম ঘটনা নতুন কিছু নয়। তাই এতে বিচলিত হওয়ারও কিছু নেই।

Monday, April 22, 2013

আজ থেকে শুরু হয়েছে আবার হরতাল। আর হরতাল মানেই সহিংসতার আশংকা।



আজ১৮ দলেরডাকা টানা৩৬ ঘন্টারহরতাল শুরুহয়েছে। হরতালেরপ্রধান ইস্যুদলীয় নেতাদেরমুক্তি। হরতালবাংলাদেশের একটি সাংবিধানিক আন্দোলনের মাধ্যম।জাতীয় ইস্যুতে দেশের স্বার্থ রক্ষায় হরতাল আহবান করা যেতে পারে। আর এ হরতাল প্রতিহত করার সরকারের যে প্রচেষ্ট তা আসলে কি ভাল হচ্ছে? আমার মনে হয় মোটেও ভাল হচ্ছে না। কারণ এতে নৈরাজ্য, সহিংসতার আশংকা বৃদ্ধি হয়। একদল থাকে হরতাল সফল করার প্রচেষ্টায় আরেক দল থাকে তা প্রতিরোধ করায়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে সৃষ্টি হয় ক্রোধ এর, হিংসা এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া তো আছেই। এক পর্যায়ে তা সহিংসতায় পরিণত হয়। আর এ সহিংসতার দরুণ ককোন নেতা কর্মী আহত কিংবা নিহত হলে বিশেষ করে হরতালের সমর্থকদের মধ্য থেকে কেউ হলে ব্যাস্। পরের দিন আবার হরতাল। আর বর্তমানের হরতালে সবসময় বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর থাকে পুলিশি নজর এবং বাঁধা। মিছিল করতে দেওয়া হয়না, সমাবেশ করতে গেলে বাঁধা প্রদান করা ইত্যাদি দেখলে মনে হয় এগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিত। হরতাল সমর্থক কিংবা বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা জোর পূর্বক বাঁধা অতিক্রম করতে গেলেই শুরু হয় ধর-পাকড়। তারপর আবার শুরু হয় সেই ধর-পাকড়ে পাকড়াও হওয়া নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবীতে হরতাল কিংবা আন্দোলন। এতে করে আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের অর্থনীতিতে এমন প্রভাব পড়ছে যে মনেই হয়না কখনো এ দেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা আজীবন মেয়াদ নিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন? না, তাদেরও কখনো না কখনো আবার বিরোধী দল হতে হবে। তাহরে তখন তাদের অবস্থা কি হবে একবার কি ভেবে দেখেছেন এই ক্ষমতাসীন দল। হাতে ক্ষমতা আসলেই মানুষ এভাবে ভোলানাথ হয়ে যাওয়া ঠিক না। এতে নিজেরই ক্ষতি। এদেশ স্বাধীন হয়েছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। এদেশের রাষ্ট্রীয় ভাষা অর্জিত হয়েছে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। তারমানে বুঝতে হবে এদেশের জনগণের ঘাড়ের উপর জোর-জবরদস্তি জরগণ মেনে নিতে পারে না। এরা যেকোন মুহুর্তে আবারো সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়তে জানে। সুতরাং দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আমার আহবান, আপনারা সংঘাতের রাজনীতি মন থেকে ধূয়ে মুছে অহিংস রাজনীতির প্রতি জোর দিন। এদেশের সহজ সরল জনগণকে উপহার দিন সুন্দর একটি দেশ। আমরা সুন্দরভাবে, শান্তভাবে এবং নিরাপদে বাঁচতে চায়। মুক্তমনে, স্বাধীনচিত্তে খোলা আকাশের নিচে ঘুরতে চায়। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ যেন একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে আমরা সেরকম বাংলাদেশ চায়।

Sunday, April 21, 2013

আমাদের দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত... (আস্তিক এবং নাস্তিক)

(আস্তিক)
(নাস্তিক)

আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ। বহু প্রাণের বিনিময়ে, বহু ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশ। প্রতিজ্ঞা ছিল সোনার বাংলায় রূপান্তর করার। সোনার বাংলা থেকে যুগের পরিবর্তনের কারণে সেটি এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সোনার বাংলার আর দরকার নেই। কারণ যুগ পাল্টেছে। আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও বেশ পরিবর্তন এসেছে। ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে তুলে দিয়েছেন। সে অনুযায় বর্তমানে বিরোধী দলের প্রধান আন্দোলন হওয়া উচিত ছিল তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু। কিন্তু না, তা আর হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে। এই বিচার করতে গিয়ে এবং রায় নিয়ে সৃষ্ট মত-বিরোধ থেকে রাজনৈতিক ধারা সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় নেয়। কাদের মোল্লার রায়কে নিয়ে শাহবাগে তৈরী হয় গণজাগরন মঞ্চ। আর এই গনজারণ মঞ্চই সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট পাল্টে দেয়। ইসলামী দলগুলোর টনক নড়ে। এই গণজাগরন মঞ্চ হওয়ার আগে কিন্তু বাংলাদেশে আস্তিক বা নাস্তিকের কোন আলোচনা কিংবা সমালোচনা কোনটাই ছিলনা ইসলামী দলগুলোর মধ্যে। হঠাৎ করে দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। বর্তমান ইসলামী দলগুলোর মতানুসারে যারা ইসলামী দলের অনুসারী তারা নাস্তিক আর যারা বিশেষ করে আওয়ামীলীগ কিংবা বাম দল সমর্থক তারা নাস্তিক। আবার দেশের ইসলামীদলগুলোর মধ্যেও আছে মত-বিরোধ। একে অপরকে নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করছেন। আর ব্লগার তো আছেই। প্রিয় পাঠকগণ আপনি যদি ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নাস্তিক। তাদের ভাষ্যমতে আমিও একজন নাস্তিক। আসলে ইসলামী দলগুলোর কর্মী পর্যায়ে অনেকেই আছেন, শুধু অনেকে না প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মীই কিন্তা জানে না ব্লগার কি এবং ব্লগ ই বা কি। আমি একজন মুসলিম হিসেবে এইটুকু বলতে পারি যে ইসলামে কোনকিছু না জেনে কারো সম্পর্কে কোনকিছু বলা ঠিক না। নিজ চোখে দেখে বা নিজের কানে শুনলে তখন সেটার সমালোচনা করা যায়। আবার ইসলাম এও বলে যে তোমরা জীবিত কাউকে কাফের বলো না, কেননা ঐ ব্যক্তি মৃত্যুর আগ মুহুর্তেও হয়তো ইমান আনতে পারে। একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন কে আস্তিক বা কে নাস্তিক। এমন অনেক মানুষ পৃথিবীতে আছে যারা সারাজীবন এমন সব অপকর্মে লিপ্ত থাকে যে তাদের দেখলেই ঘৃণা লাগে, কিন্তু মৃত্যুর মুহুর্তে দেখা যায় এ রকম অনেকেরই কালিমা নসীব হয়। পরিশেষে এইটুকু বলব, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই ধর্মে হিংসা, বিদ্বেষ এর স্থান নেই। ইসলাম বলে তোমাকে যদি কেউ একটা থাপ্পড় দেয় এবং তোমার সেই থাপ্পড়ের জবাব দেওয়ার সাহস, শক্তি থাকার পরও যদি তুমি তাকে ক্ষমা করো তাহলে তুমিই প্রকৃত ইমানদার। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে হেদায়াত দান করুন।

Sunday, April 14, 2013

স্বাধীন দেশে থেকেও আজ আমরা পরাধীনতার চেয়েও অধম... একে কি স্বাধীনতা বলে?



আমরা বাঙ্গালী। এই কথাটি গর্ভ করে বলার ছিল। ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়। মানলাম একটা দেশ যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হলে সে দেশ সবকিছু গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লাগে। তারপর তো সবকিছু ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু বিংশ শতাব্দীর এই দিনে এসে আজ আমরা কি দিখছি। দেশের বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে কোন অবস্থাতেই বলা চলে না আমরা স্বাধীন জাতি। আমরা মুসলিম হয়ে দেশে আজ দাঁড়ি রাখতে পারি না। দাঁড়ি দেখলে পুলিশ পাকড়াও করছে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী বলে। আমরা হিন্দু হয়ে মাথায় সিন্দুর কিংবা ধুতি পরে ঘর থেকে বের হতে পারি না। আমরা সংখ্যালঘু বলে আমাদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে চোরাগুপ্তভাবে। কারণ আমরা এদেশে সংখ্যালঘু বলে। আসলে এদেশটা মুসলিম প্রধান দেশ। কিন্তু হিন্দু বলেন, বিধর্মী বলেন, খ্রিষ্টান বলেন, বৌদ্ধ বলেন আর মুসলিম বলেন সবার সৃষ্টিকর্তা তো এক আল্লাহই। আল্লাহকে যদি এক মানা হয় তাহলে কেন এই হিংসা-বিদ্বেষ। একজন মুসলিম হয়ে অন্য ধর্মের লোকদের ঘৃণা করা মানে কিন্তু খুব খারাপ। আজ আমরা ধরতে গেলে পুরোপুরি পথভ্রষ্ট। আর এই পথভ্রষ্টের কারণেই আমাদের এই দুর্গতি। স্বাধীন দেশে থেকেও হিংসা-বিদ্বেষ এর কারণে আজ একজন আরেকজনের আক্রমণের শিকার হচ্ছি প্রতিনিয়ত। স্বাধীন দেশে থেকে স্বাধীনতা কি জিনিষ আমরা ভুলে গেছি। এখন পরিস্থিত এমন যে দেশে যখন যে সরকার আসে তারাও ক্ষমতার অপব্যবহার করতে শুরু করেছে। সংবিধান থেকেও নাই বলে মনে করতে হচ্ছে। হরতাল, অবরোধ কিংবা যেকোনো প্রকারের দাবী নিয়ে আন্দোলন সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত। কিন্তু আজকাল হরতাল কিংবা কোন আন্দোলনের ডাক দিলে সরকারের তরফ থেকেই নেওয়া হয় আন্দোলন প্রতিহত করার ব্যবস্থা। এতে করে সহিংসতা দেশে দিনের পর দিন বাড়তেই চলেছে। ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত আমাদের মত সাধারণ মানুষের। সরকার বলেন আর বিরোধী দল বলেন অথবা আন্দোলনকারী দল বলেন সবাই থাকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। এতে দেখা যায় যে, সরকারের প্রতিহতের মুখে আন্দোলনকারীর কোন কর্মী কিংবা কোন সাধারণ মানুষের ছোট-বড় যে রকমই হোক কোন ক্ষতি হলেই প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে ঝাপিয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা অন্যের উপর। তারা আরো কয়েকজনের ক্ষতি করে দেয়। পাল্টা জবাবে ক্ষতিগ্রস্থ দল আবার দলবল নিয়ে চালায় আক্রমণ। এটাই আমাদের আজকের স্বাধীনতা। এ দেশের আইন-শৃঙ্খলার এতই অবনতি ঘটছে যে, এখন মানুষ খুন করা তেমন কোন বড় অন্যায় ও না। শুধু একটি রাজনৈতিক দলের ছায়াতলে থাকতে পারলেই হয়। এটাই আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতা।

আমরা নতুন প্রজন্মের দাবী এ রকম স্বাধীনতা আমরা চাই না। আমরা চাই শান্তি। আমরা চাই দেশে যত রাজনৈতিক দল আছে তারা যেন সুষ্ট রাজনীতিতে ফিরে আসে। তারা যেন সহিংতার পথ ছেড়ে দেয়। আমরা এ দেশটাকে শান্ত-সৃষ্ট দেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে পেশ করতে চায়। দাঙ্গাবাজ হিসেবে নয়। আমরা যেন আমাদের কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে নিয়ে গর্ভ করতে পারি।.....

বাংলাদেশের নাম এই ভূ-খন্ডে কেয়ামতের আগেরদিন পর্যন্ত থাক সেই কামনাই করি।

Friday, April 12, 2013

৭১ ও বর্তমান বাংলাদেশ। এদেশের স্বাধীনতার পিছনে মূল ভূমিকা কার?



১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় এ দেশমুক্তিযুদ্ধ দেখার সেই সৌভাগ্য আমার হয়নিকারণ তখন আমি দুনিয়াতেই আসিনিকিন্তু বই পুস্তক হতে, লোক মুখে এবং বিভিন্ন মিডিয়া হতে স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা হলেও অবগত হয়ছিসেই ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ দেশ কারো ভাষণ কিংবা ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়নিস্বাধীন হয়েছে দীর্ঘ নয় মাস সম্মুখ যুদ্ধের মোকাবেলা করার পরএই দীর্ঘ নয় মাসে প্রাণ হারিয়েছ অনেক বাঙ্গালী অনেক মা-বোন হারিয়েছে তাদের সম্ভ্রম৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এবং ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছেআমি মনে করি এই স্বাধীনতার প্রকৃত দাবীদার তারাই, যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলকিন্তু আমার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই শুনে আসছি বাংলাদেশের দু'টো দল তাদের মধ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এই দাবী নিয়েএকদল বলছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনেই স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়া হয়, আবার আরেক দল বলছে জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র, চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা বলুন দেশে কি এখনো মানুষ বোকা আছে? কারো ঘোষনা দেওয়ার মাধ্যমে কি একটি দেশ স্বাধীন হয়ে যায় এটা আপনারা বিশ্বাস করেনভাগ্য ভাল যে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানি জীবিত নাইকিংবা তার কোন ওয়ারিশ ও নাইথাকলে আজকের দিনে আমি মনে করি একমাত্র তার পরিবারই দাবী করতে পারতো যে, জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী'ই দেশকে স্বাধীন করার পিছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেনদেশবাসীর ভাবনা আমি জানিনা, আমার মনে হয় বর্তমান বাংলাদেশের এই প্রেক্ষাপটে এসে আমাদের সেই পুরোনো বিরোধ ভুলে গিয়ে যার যা কৃতীত্ব তাকে দেওয়া উচিতমুক্তিযুদ্ধে কম বেশি অনেকেই অবদান রেখেছএই মুহুর্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলে দেখতে পাবেন অনেকে আছে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি অথচ তাদের নামে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পত্র আছেমুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হয়েছেন অনেকেইআবার এও দেখবেন অনেক সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধ আছে যাদের কোথার কোন রকম অন্তর্ভূক্তি নাইঅনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন এরকম মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশে এখনো অনেক পাওয়া যাবেসুতরাং এই মুক্তিযুদ্ধ নিয়া বেশী ঘাটাঘাটি না করে দেশটা যেহেতু স্বাধীন হয়েছে এবার স্বাধীনতা রক্ষা করার পালা বর্তমানে আমরা এমন এক পরিস্থিততে আছি, মনে হয় না আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিকসকাল কর্ম লক্ষ্যে ঘর থেকে বের হলে চিন্তায় থাকতে হয় যে রাত্রে নিজ ঘরে ফিরতে পারবো কিনাকিছুদিন আগে বিরোধী দলীয় হরতাল চলছিলআমার চাচা আসছে কাতার থেকেউনাকে আনতে গেলাম রিক্সায় করে আর আসার সময় একটি সি.এন.জি. নিয়ে চলে আসছিলামতখন দুপুর ২ টাপুরো চট্টগ্রাম নগরী অতিক্রম করে ঘরেরকাছাকাছি আসতেই শুরু হল আক্রমণঅনেক বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলামকিন্তু ততক্ষণে গাড়ী ভাঙ্গা হয়ে গেছেএই হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতাহরতালের মধ্যে একজন রোগী হাসপাতাল নিয়ে যেতে যেতে পথেই মারা যাবে, তবু হাসপাতালে যেতে দেওয়া হবে নাএটাই আমাদের বহু কষ্টার্জিত স্বাধীনতাআমরা এর পরিত্রাণ চাইআমরা চাই নিজের মত করে বাঁচতে, নিজের মত করে চলতে এবং স্বাধীনভাবে ঘুরতে ফিরতেআমরা আর পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চাই নাআসুন এখনই সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রিত হওয়ার