গতকাল ৫ মে হেফাজতে ইসলামের পূর্ব ঘোষিত ঢাকা অবরোধের দিন ছিল। এ কর্মসূচীতে অংশ নিতে হেফাজতে ইসলাম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকেও তাদের নেতা কর্মী এবং অনুসারীদের ঢাকা আসতে বলে যে কোন মূল্যে। সবাই আসেনও। তারা বিগত ৬ এপ্রিল এর ঘটনায় মনে করেছিল পুলিশ বাহিনী, ব্যাব বাহিনী, বিজিবি এরা কিছুই করতে পারবে না। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় বসে তারা তান্ডব চালানোর পরিকল্পনা নিয়ে এসেছিল।
প্রত্যেক তরুণ মাদ্রাসা ছাত্রদের তারা জান্নাত এবং শহীদি মৃত্যুর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় জড়ো করেন এবং ওখান থেকে বড় গলায় বলা হয় যে কেউ পিছপা হবেন না। আমরা মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী। তারা আসার সময় পরিকল্পনা করে আসে সকল প্রকার লুটপাট ও তান্ডব চালানোর। ঢাকায় এসে সবাই জনসমুদ্র দেখে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফি তার ক্ষমতার লোভ আর সামলাতে না পেরে অজ্ঞাত স্থান থেকেই ঘোষনা দেন দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী জারি থাকবে। কেউ এক ফোটাও না নড়ার আদেশ দেন তিনি। কিন্তু তিনি হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন মারকে ভূত-প্রেতও ভয় পায়। জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ও দেশের প্রধান বিরোধী দল সবাই এতদিন আন্দোলন করছিলেন পুলিশের চোখের সামনে। পুলিশ দেখলে তাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়া, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের ধাওয়া করা এবং একা ধরতে পারলে গণধোলাই দেওয়া ইত্যাদি তারা অনায়াসে করে আসছিলেন। কিন্তু গতকাল এই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আসল চেহারা দেখাতে বাধ্য হয়েছে। তারপরও বলতে হয় তাদের এখনো আসল চেহারা দেখানো হয় নি। তারা তো মাত্র ১০ মিনিটে অভিযানে মতিছিলের পুরো শাপলা চত্তর একেবারে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। হেফাজত বাহিনী যারা এসেছিলেন শহীদি মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে পিটের উপর কয়েক ঘা পড়ার আগেই কান ধরে হাত উপরে করে সবাই পালিয়ে গেল। এই কি ইসলামের শক্তি। প্রকৃত ইমানদারের শক্তি এরকম হওয়ার কথা কখনোই না। প্রকৃত ইমানদার হলে এবং প্রকৃতপক্ষে ইসলাম রক্ষার আন্দোলন করলে কোন মুসলমানই নিজের অবস্থান থেকে কখনোই পিছপা হওয়ার কথা না। প্রকৃত মুসলমান তো তারা যা ইসলাম রক্ষার জন্য নিজের জীবন দিতে খয় করে না। কিন্তু এইভাবে তো না। নিজেরা উস্কানী দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের উস্কে দেওয়া, নিরীহ মানুষের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া এমনকি ইসলামিক পু্স্তক এর দোকানে আগুন দেওয়া যেখানে রক্ষিত ছিল অনেক কুরআন মাজিদও এই কর্মকান্ড কখনো ইসলাম প্রিয়দের হতে পারে না। তাদের উদ্দেশ্য আসলে ইসলামের হেফাজত করা না, তাদের মূল উদ্দেশ্য একাত্তরের পুনরাবৃত্তি করা। তারা চাই এই বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো। তারা চায় এদেশে আবার পাকিস্তানের ক্ষমতায়ন। তারা যদি সত্যিকারের ইসলামের হেফাজতের আন্দোল করতো তাহলে দেশের বারোটা বাজানোর চিন্তা তাদের মাথায় আসতো না। আসলে এই হেফাজতে ইসলাম হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসল কোথা থেকে? মূলত এই হেফাজত বাহিনী পুরোটাই জামায়াতে ইসলামী। দেশের প্রধান বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধের কারণে সরাসরি জামায়াতে ইসলামকে সমর্থন দিতে পারছেন না। তাদের সমর্থন করলে দেশের জনগণ তাদেরকেও রাজাকার বলবে, আর তাই এই জামায়াতে ইসলামকে নতুন করে নাম দেওয়া হয় হেফাজতে ইসলাম। আর জামায়াতে ইসলামের শীর্ষস্থানীয় নেতাগণ বেশিরভাগই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে কেউ আছেন পলাতক আর কেউ আছে কারাগারে। তাই চট্টগ্রামের আল্লামা শফিকে এই হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন দেশের প্রধান বিরোধী দল এদের খুব সহজেই সমর্থন দিতে পারছেন। কথায় কথায় তারা তাদের দাবী আদায়ের কথা না বলে প্রথমেই বলে রাথে হেফাজতের কোন কর্মকান্ডে যেন বাঁধা প্রধান করা না হয়। এতে করে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় আসলে এই হেফাজতে ইসলাম কারা। আর প্রধান বিরোধী দলের সামনে আর কোন পথও খোলা নাই। কারণ নির্বাচন খুবই সন্নিকটে। কিছুদিন পূর্বের ঘটনা। দেলোয়ার হোসাইন সাইদীর রায়ের পর দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল তখন বিরোধী দলীয় নেতৃ তার এক বিবৃতে সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনার আমাদের দাবী মেনে নিন, তাহলে দেখবেন কাল থেকে দেশের সকল নৈরাজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। অতঃপর আরেক বিবৃতে বলা হয় দেশে সকল নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী খোদ সরকার। সরকারী দল তাদের গুন্ডা বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে এসক অরাজকতা চালাচ্ছে দেশে। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত আসলে দেশে নৈরাজ্য কিংবা অরাজকতা কারা সৃষ্ট করছে এবং কেন করছে। সবই ক্ষমতার লোভ। আপনাদের প্রতি আহবান, আপনার সকল দলই ক্ষমতার লোভ মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন, দেশের কথা চিন্তা করুন, দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করুন। দেশটাকে আরেকটি সংঘাতের দিকে টেলে না দিয়ে এদেশের বহু কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য বলিষ্ট ভূমিকা পালন করুন।
প্রত্যেক তরুণ মাদ্রাসা ছাত্রদের তারা জান্নাত এবং শহীদি মৃত্যুর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ঢাকায় জড়ো করেন এবং ওখান থেকে বড় গলায় বলা হয় যে কেউ পিছপা হবেন না। আমরা মরলে শহীদ বাঁচলে গাজী। তারা আসার সময় পরিকল্পনা করে আসে সকল প্রকার লুটপাট ও তান্ডব চালানোর। ঢাকায় এসে সবাই জনসমুদ্র দেখে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফি তার ক্ষমতার লোভ আর সামলাতে না পেরে অজ্ঞাত স্থান থেকেই ঘোষনা দেন দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী জারি থাকবে। কেউ এক ফোটাও না নড়ার আদেশ দেন তিনি। কিন্তু তিনি হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন মারকে ভূত-প্রেতও ভয় পায়। জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ও দেশের প্রধান বিরোধী দল সবাই এতদিন আন্দোলন করছিলেন পুলিশের চোখের সামনে। পুলিশ দেখলে তাদের লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছোড়া, আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের ধাওয়া করা এবং একা ধরতে পারলে গণধোলাই দেওয়া ইত্যাদি তারা অনায়াসে করে আসছিলেন। কিন্তু গতকাল এই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের আসল চেহারা দেখাতে বাধ্য হয়েছে। তারপরও বলতে হয় তাদের এখনো আসল চেহারা দেখানো হয় নি। তারা তো মাত্র ১০ মিনিটে অভিযানে মতিছিলের পুরো শাপলা চত্তর একেবারে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন। হেফাজত বাহিনী যারা এসেছিলেন শহীদি মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে পিটের উপর কয়েক ঘা পড়ার আগেই কান ধরে হাত উপরে করে সবাই পালিয়ে গেল। এই কি ইসলামের শক্তি। প্রকৃত ইমানদারের শক্তি এরকম হওয়ার কথা কখনোই না। প্রকৃত ইমানদার হলে এবং প্রকৃতপক্ষে ইসলাম রক্ষার আন্দোলন করলে কোন মুসলমানই নিজের অবস্থান থেকে কখনোই পিছপা হওয়ার কথা না। প্রকৃত মুসলমান তো তারা যা ইসলাম রক্ষার জন্য নিজের জীবন দিতে খয় করে না। কিন্তু এইভাবে তো না। নিজেরা উস্কানী দিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের উস্কে দেওয়া, নিরীহ মানুষের দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া এমনকি ইসলামিক পু্স্তক এর দোকানে আগুন দেওয়া যেখানে রক্ষিত ছিল অনেক কুরআন মাজিদও এই কর্মকান্ড কখনো ইসলাম প্রিয়দের হতে পারে না। তাদের উদ্দেশ্য আসলে ইসলামের হেফাজত করা না, তাদের মূল উদ্দেশ্য একাত্তরের পুনরাবৃত্তি করা। তারা চাই এই বাংলার মাটিতে যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানো। তারা চায় এদেশে আবার পাকিস্তানের ক্ষমতায়ন। তারা যদি সত্যিকারের ইসলামের হেফাজতের আন্দোল করতো তাহলে দেশের বারোটা বাজানোর চিন্তা তাদের মাথায় আসতো না। আসলে এই হেফাজতে ইসলাম হঠাৎ করে উড়ে এসে জুড়ে বসল কোথা থেকে? মূলত এই হেফাজত বাহিনী পুরোটাই জামায়াতে ইসলামী। দেশের প্রধান বিরোধী দল যুদ্ধাপরাধের কারণে সরাসরি জামায়াতে ইসলামকে সমর্থন দিতে পারছেন না। তাদের সমর্থন করলে দেশের জনগণ তাদেরকেও রাজাকার বলবে, আর তাই এই জামায়াতে ইসলামকে নতুন করে নাম দেওয়া হয় হেফাজতে ইসলাম। আর জামায়াতে ইসলামের শীর্ষস্থানীয় নেতাগণ বেশিরভাগই যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার কারণে কেউ আছেন পলাতক আর কেউ আছে কারাগারে। তাই চট্টগ্রামের আল্লামা শফিকে এই হেফাজতে ইসলামের নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন দেশের প্রধান বিরোধী দল এদের খুব সহজেই সমর্থন দিতে পারছেন। কথায় কথায় তারা তাদের দাবী আদায়ের কথা না বলে প্রথমেই বলে রাথে হেফাজতের কোন কর্মকান্ডে যেন বাঁধা প্রধান করা না হয়। এতে করে সুস্পষ্টভাবে বুঝা যায় আসলে এই হেফাজতে ইসলাম কারা। আর প্রধান বিরোধী দলের সামনে আর কোন পথও খোলা নাই। কারণ নির্বাচন খুবই সন্নিকটে। কিছুদিন পূর্বের ঘটনা। দেলোয়ার হোসাইন সাইদীর রায়ের পর দেশে যে অরাজকতা সৃষ্টি হয়েছিল নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছিল তখন বিরোধী দলীয় নেতৃ তার এক বিবৃতে সরকারের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, আপনার আমাদের দাবী মেনে নিন, তাহলে দেখবেন কাল থেকে দেশের সকল নৈরাজ্য বন্ধ হয়ে যাবে। অতঃপর আরেক বিবৃতে বলা হয় দেশে সকল নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী খোদ সরকার। সরকারী দল তাদের গুন্ডা বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে এসক অরাজকতা চালাচ্ছে দেশে। এখান থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত আসলে দেশে নৈরাজ্য কিংবা অরাজকতা কারা সৃষ্ট করছে এবং কেন করছে। সবই ক্ষমতার লোভ। আপনাদের প্রতি আহবান, আপনার সকল দলই ক্ষমতার লোভ মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন, দেশের কথা চিন্তা করুন, দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করুন। দেশটাকে আরেকটি সংঘাতের দিকে টেলে না দিয়ে এদেশের বহু কষ্টার্জিত স্বাধীনতাকে রক্ষার জন্য বলিষ্ট ভূমিকা পালন করুন।
No comments:
Post a Comment