পৃষ্ঠাসমূহ

Tuesday, May 7, 2013

সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হেফাজতের তান্ডবে নিহত হয়েছেন সেনা সদস্য, বিজিবি, পুলিশ সহ ২৯ জন।

আমরা এদের লাটির আঘাতে আর কোন মায়ের বুক খালি হোক তা চাই না
 গত ৫ই মে ঢাকার মতিঝিলের শাপলা চত্বরে অবরোধ কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে আসা হেফাজত বাহিনী সুযোগ পেয়ে দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার ঘোষনা দেন। কিন্ত বাংলাদেশের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তা আর সম্ভব হয়নি। পালিয়ে যেতে হয় যারা শহীদী মৃতু্র জন্য ঢাকায় এসেছিলেন।
কিন্তু তারা ঢাকায় যে ধ্বংসংজ্ঞ চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন তা পুরোপুরি সফল করতে না পেরে এখন নারায়নগঞ্জ, চট্টগ্রামের হাটহাজারী সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তাদের হেফাজতী নমুনা প্রদর্শন করছেন। ৬ই মে রাতে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এবং গুলিতে নিহত হয় মাত্র ৭/৮ জন। এই কয়েকজনকে তারা কেউ বলছেন ২৫০০ আবার কেউ দাবী করছেন ৩০০০। কিন্তু যারা এই কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের কোন না কোন মাদ্রাসার ছাত্র কিংবা শিক্ষক। তাই তাদের প্রত্যেক মাদ্রাসায় নাম ঠিকানা সহ নিবন্ধন থাকার কথা। কিন্তু হেফাজত বাহিনী মূখে ২৫০০/৩০০০ লাশের দাবী করলেও কাগজে পত্রে তারা এর কোন হিসাব দিতে পারছেন না। ৩০০০ লোকের মধ্যে অন্তত ৩০০ লোকের নাম, ঠিকানা কোন মাদ্রাসার ছাত্র ছিল তা প্রকাশ করেন, তাও না। শুধু ঢোল পিটিয়েই যাচ্ছেন। অথচ তারা কি করেছেন দেখেন। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এ পর্যন্ত তাদের হাতে নিহত হয়েছেন ২৯ জন। এই ২৯ জনের মধ্যে আছে সেনা সদস্য, বিজিবির সদস্য, এবং পুলিশ। আর বাকীরা সাধারণ নাগরিক। মানুষ খুন করে ইসলাম রক্ষার শিক্ষা তাদের কে দিয়েছেন জানিনা। তবে তারা যে পাগল হয়ে গেছে তা সত্য। আর যে কোন পাগলকে উম্মুক্ত ছেড়ে দিলে তারা পাগলামি করবেই। সুতরাং তাদের শেকলে বন্দী করাটা খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে। ৭/৮ জনের লাশ যদি তাদের কাছে ২৫০০/৩০০০ মনে হয় তাহলে তারা যে এতগুলো লাশ ফেলল তাদের হিসেবে এখানে কতগুলো লাশ হওয়া উচিত। আর হেফাজতীরা তাদের হাতে এখনও কোন ক্ষমতা নেই এখনই তাদের এই হুঙ্কার, যদি এদের হাতে ক্ষমতা আসে তাহলে কেমন হবে বাংলার চেহারা। তখন হয়তো আমাদের মত সাধারণ মানুষদের পায়খানায় যাবার সময়ও তাদের অনুমতি ছাড়া যাওয়া যাবে না। তাদের কথা ছাড়া ১ পা দিলে হয়তো সেই পা কেটে ফেলে দেওয়া হবে। মোট কথা পাকিস্তানি শাসনামলে যা হয়েছিল তার চেয়েও করুণ দশা হতে পারে আমাদের। এই হেফাজত বাহিনী দেশে এরূপ তান্ডব চালানোর পরও দেশের সরকার কি করছে বুঝতে পারছি না। কেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীদের পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছেনা এদের দমন করার জন্য? এদের দমন করার জন্য সেনাবাহিনীর কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। পুলিশই এদের জন্য যতেষ্ট, যদি এদের হাতে দমন করার পূর্ণাঙ্গ ক্ষমতা প্রদান করা হয়। আমরা বাংলার মাটিতে আর কোন মায়ের বুক খালি হোক তা চাই না। তাই বলছি বন্ধ করুন এ হত্যাযজ্ঞ। বন্ধ করুন রক্তের খেলা।

No comments: