পৃষ্ঠাসমূহ

Friday, May 3, 2013

ডুলাহাজা সাফারী পার্ক (উরফে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারী পার্ক)

মেইন রোডের পার্শ্বে সাফারী পার্কের তোরন
সাফারী পার্কের প্রধান ফটক
পার্কে ঢুকতেই চোখে পড়বে এই ম্যাপ

পার্ক পরিদর্শনে দর্শনার্থীর একাংশ
ডুলাহাজারা সাফারী পার্কটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটির অবস্থান কক্সবাজার জেলা সদর হতে ৫০ কিলোমিটার উত্তরে এবং চকরিয়া হতে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণে ফাসিয়াখালী রেঞ্জের ডুলাহাজারাতে অবস্থিত। এই পার্কটি প্রথমে মূলত হরিণ প্রজণন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ সরকারের বন ও পরিবেশ বিভাগ।
হরিণ প্রজণন কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হলেও এখানে বাঘ, সিংহ, হাতি, ভালুক, গয়াল, কুমির, জলহস্তি, মায়া হরিন, সম্বর হরিণ, চিত্রা হরিণ, প্যারা হরিণ প্রভৃতি প্রাণী রয়েছে। এই পার্কে মিঠা পানির কুমির যেমন আছে তেমনি আছে নোনা পানির কুমিরও। এসব মিলে এ এক নান্দনিক পরিবেশ বলা যায়। পার্কের নান্দনিক পরিবেশ যেন শুধুই হাতছানি দিয়ে ডাকছে দর্শনেচ্ছু ভ্রমণ বিলাসীদের। চিড়িয়াখানায় জীব-জন্তুদের বন্দি অবস্থায়ী রাখা হয়, কিন্তু সাফারী পার্কে প্রাণীরা থাকে মুক্ত অবস্থায়। এই পার্কটিকে কেউ কেউ সাফারী পার্ক বলতে রাজী নন, কারণ প্রাকৃতিক অবক্ঠামোর বদলে অত্যাধুনিক ও কৃত্রিম অবকাঠামো গড়ে তোলা হয়েছে। বেশি। সাফারী পার্ক হলো সরকার ঘোষিত সংরক্ষিত এলাকা, যেখানে বন্য প্রাণীদের প্রাকৃতিক পরিবেশ প্রতিপালন করা হয়। এই পার্কের মধ্যে দেশি-বিদেশি বন্য প্রাণীর বংশবৃদ্ধি ও অবাধ বিচরণের সুযোগ করে দেওয়া হয়। সাফারী পার্কে পর্যটকদের হেঁটে বা বাহনে করে টিকিটের বিনিময়ে ঘুরে দেখার সুযোগ থাকে। এর আয়তন ৯০০ হেক্টর। প্রাকৃতিক শোভামন্ডিত নির্জন উঁচু নিচু টিলা, হ্রদ, চিরসবুজ বনের জানা-অজানা গাছ-গাছালি, ফলজ-এভষজ উদ্ভিদ ও লতার অপূর্ব সমাহার ও ঘন আচ্ছাদনে গড়ে উঠেছে সাফারী পার্কটি। পার্কের চারদিকে বেষ্টনী রয়েছে, যাতে বণ্য প্রার্ণ পার্কের বাইরে যেতে না পারে। পার্কের ভেতরেও আলাদা আলাদা বেষ্টনী রয়েছে। এই বেষ্টনীর ভেতরে বাঘ, সিংহ ও তৃণভোজী প্রাণী প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাস করে। প্রধান ফটকের বাম পাশে রয়েছে একটি ডিসপ্লে ম্যাপ। অতি অল্প সময়ে পার্কের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য ম্যাপটি কার্যকর। পার্কের ভেতরে বাঘ-সিংহসহ অন্যান্য প্রার্ণ পর্যবেক্ষণের জন্য রয়েছে পর্যবেক্ষণ টাওয়ার ও প্রহরা পোষ্ট।

যেভাবে যাবেন- চট্টগ্রাম হতে কক্সবাজারগামী অনেক এসি, নন-এসি বাস আছে। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট হতে মাইক্রোবাস ও পাওয়া যায়।

No comments: