পৃষ্ঠাসমূহ

Tuesday, April 30, 2013

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের স্বাক্ষী- ওয়ার সিমেট্রি চট্টগ্রাম- বর্তমানে পর্যটকদের প্রিয় জায়গা।




ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-১

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-২

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-১৩

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-৪

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-৫

ওয়ার সিমেট্রি চিত্র-৬

জানা যায় ১৯৩৯ থেকে ১৯৪৫ সালের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গভীর জলের পোতাশ্রয় চট্টগ্রাম এলাকা ছিল আরাকান সামরিক তৎপরতার অন্যতম ঘাটি ও উল্লেখযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র বা হাসপাতালমূলত এই হাসপাতালে মৃত ব্যক্তিদের জন্য এ সমাধিস্থলটি সৃষ্ট করা হয়প্রথমে দিকে এই সিমেট্রিতে ছিল ৪০০ সশস্ত্র সদস্যের সমাধিস্থল
বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ৭৩১ টিতেমোট কথা এই সমাধিস্থল কিংবা ওয়ার সিমেট্রি নামক জায়গাটি চট্টগ্রামের পযটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তাই প্রতিদিনই এখানে জড়ো হয় অসংখ্য দর্শনার্থী। এই সিমেট্রিতে যে একবার প্রবেশ করে ভিতরের সৌন্দর্য অবলোকন করার পর তার আর বের হতে ইচ্ছে করেনা। এক মুহুর্তের জন্যও মনে হয়না যে আমরা বাংলাদেশে আছি, কিংবা বাংলাদেশের কোন জায়গা এমন সুন্দর হতে পারে।সচক্ষে না দেখলে কেউ বিশ্বাসই করতে চায়না। চারদিকে ছায়াঢাকা পাখিডাকা সুনশান নীরবতাযেদিকে চোখ যায় পটে আঁকা ছবির মতো সাজানো গোছানোকোথাও আকাশছোঁয়া আকাশমণি, দেবদারু, কড়ই, সেগুন, কৃষ্ণচূড়া ছায়া দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেঝাড়বেড়া, বাগানবিলাস আর চেনা-অচেনা রকমারি পাতাবাহার, শোভাবর্ধনকারী বৃক্ষরাজি ও ফুলের গালিচা দেখলেই মন ভরে যাবে সবার কোথাও হিজল-জারুল-চম্পা, কোথাও সোনালী ফুলের গাছ উঁকি মারছে মাঝে সারি সারি কবরআবার সারি সারি বাহারি ফুলের মেলাফুটে আছে লাল, সাদা আর হলুদ লেনটানা, কেরিঅপসিস, রঙ্গন ফুলে ফুলে টইটম্বুর গাছগুলো শোভা বাড়াচ্ছেসৃষ্টি করছে নৈসর্গিক পরিবেশযেখানে সকাল, দুপুর আর বিকেলে আলোছায়ার খেলায় ঘন ঘন রুপ পাল্টে যায়প্রজাপতি উড়ছে পাখনা মেলে তরুণ-তরুণীরা জুটি বেঁধে হাতে হাত রেখে ঘুরছেচোখে বিস্ময়, হৃদয়ে ময়ূরের পেখম খোলা আনন্দপ্রকৃতি আর মানুষের অপার সৌন্দর্যের হাতছানিওয়ার সিমেট্রিটির প্রবেশ পথের মূল ফটক থেকে সামান্য পথ হেটে এগোলেই চোখে পড়ে দুটি ছোট গির্জা ও ফটকওই ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই যেন পাওয়া যায় নিস্তব্ধতার পরশ হাতের ডান পাশের গির্জার একটি নিবন্ধন বইতে লেখা আছে ভারতীও বাণিজ্য তরীর প্রায় ছয় হাজার নাবিক এবং লস্করের নাম, যারা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সাগরে প্রান হারায়মৃতদেহ পাওয়া না যাওয়ায় তাদের নাম স্মরণ করে সন্মান দেখানো হয়হাতের বাঁ পাশের গির্জায় রয়েছে সিমেট্রি রেজিস্ট্রার বই, যাতে লেখা রয়েছে সমাহিত সেনা সদস্যদের নাম। বিভিন্ন ফুল ও ফল গাছ সুশোভিত বিশাল জায়গা নিয়ে গড়া এই সমাধিস্থলে চোখে পড়বে অতি যত্নে সংরক্ষিত কবরের সারিপ্রতিটি কবরের গায়ে লেখা আছে শহীদদের নাম ও পরিচয়

অবস্থান- অবস্থান চট্টগ্রামের দামপারা এলাকার বাদশা মিয়া চৌধুরী রোড সংলগ্ন 

কিভাবে যাবেন সেখানে নগরীর জিইসি মোড় থেকে পূর্ব দিকে এগিয়ে গোল পাহাড়ের মোড় হয়ে ডান দিকে দেখা যাবে বাদশা মিয়া চৌধুরী সড়কএই সড়কে আনুমানিক ১০০ মিটার এগোলে হাতের ডান ধারে সরকারি চারুকলা ইন্সিটিউটআর বাঁ পাশে পাহাড়ের কোল ঘেঁষে রয়েছে ওয়ার সিমেট্রি

খোলার সময় ঈদের সময় ছাড়া বছরের বাকি দিনগুলোতে সকাল ৮:০০ টা থেকে দুপুর ১২:০০ টা এবং বেলা ২:০০ টা থেকে বিকাল ৫:০০ টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য সমাধিস্থলটি খোলা রাখা হয়হুইল চেয়ারেও প্রবেশ করা যাবে মেইন গেট দিয়ে

No comments: