পৃষ্ঠাসমূহ

Sunday, April 21, 2013

আমাদের দেশ এখন দুই ভাগে বিভক্ত... (আস্তিক এবং নাস্তিক)

(আস্তিক)
(নাস্তিক)

আমাদের এই দেশ বাংলাদেশ। বহু প্রাণের বিনিময়ে, বহু ত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া এই দেশ। প্রতিজ্ঞা ছিল সোনার বাংলায় রূপান্তর করার। সোনার বাংলা থেকে যুগের পরিবর্তনের কারণে সেটি এখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সোনার বাংলার আর দরকার নেই। কারণ যুগ পাল্টেছে। আমাদের দেশের বর্তমান রাজনৈতিক কর্মকান্ডেও বেশ পরিবর্তন এসেছে। ক্ষমতাসীন সরকারের মেয়াদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এই সরকার ক্ষমতায় থাকাবস্থায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান থেকে তুলে দিয়েছেন। সে অনুযায় বর্তমানে বিরোধী দলের প্রধান আন্দোলন হওয়া উচিত ছিল তত্ত্বাবধায়ক ইস্যু। কিন্তু না, তা আর হচ্ছে না। ক্ষমতাসীন সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে। এই বিচার করতে গিয়ে এবং রায় নিয়ে সৃষ্ট মত-বিরোধ থেকে রাজনৈতিক ধারা সম্পূর্ণ অন্যদিকে মোড় নেয়। কাদের মোল্লার রায়কে নিয়ে শাহবাগে তৈরী হয় গণজাগরন মঞ্চ। আর এই গনজারণ মঞ্চই সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট পাল্টে দেয়। ইসলামী দলগুলোর টনক নড়ে। এই গণজাগরন মঞ্চ হওয়ার আগে কিন্তু বাংলাদেশে আস্তিক বা নাস্তিকের কোন আলোচনা কিংবা সমালোচনা কোনটাই ছিলনা ইসলামী দলগুলোর মধ্যে। হঠাৎ করে দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেল। বর্তমান ইসলামী দলগুলোর মতানুসারে যারা ইসলামী দলের অনুসারী তারা নাস্তিক আর যারা বিশেষ করে আওয়ামীলীগ কিংবা বাম দল সমর্থক তারা নাস্তিক। আবার দেশের ইসলামীদলগুলোর মধ্যেও আছে মত-বিরোধ। একে অপরকে নাস্তিক বলে আখ্যায়িত করছেন। আর ব্লগার তো আছেই। প্রিয় পাঠকগণ আপনি যদি ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি নাস্তিক। তাদের ভাষ্যমতে আমিও একজন নাস্তিক। আসলে ইসলামী দলগুলোর কর্মী পর্যায়ে অনেকেই আছেন, শুধু অনেকে না প্রায় ৯০ শতাংশ কর্মীই কিন্তা জানে না ব্লগার কি এবং ব্লগ ই বা কি। আমি একজন মুসলিম হিসেবে এইটুকু বলতে পারি যে ইসলামে কোনকিছু না জেনে কারো সম্পর্কে কোনকিছু বলা ঠিক না। নিজ চোখে দেখে বা নিজের কানে শুনলে তখন সেটার সমালোচনা করা যায়। আবার ইসলাম এও বলে যে তোমরা জীবিত কাউকে কাফের বলো না, কেননা ঐ ব্যক্তি মৃত্যুর আগ মুহুর্তেও হয়তো ইমান আনতে পারে। একমাত্র আল্লাহই ভাল জানেন কে আস্তিক বা কে নাস্তিক। এমন অনেক মানুষ পৃথিবীতে আছে যারা সারাজীবন এমন সব অপকর্মে লিপ্ত থাকে যে তাদের দেখলেই ঘৃণা লাগে, কিন্তু মৃত্যুর মুহুর্তে দেখা যায় এ রকম অনেকেরই কালিমা নসীব হয়। পরিশেষে এইটুকু বলব, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এই ধর্মে হিংসা, বিদ্বেষ এর স্থান নেই। ইসলাম বলে তোমাকে যদি কেউ একটা থাপ্পড় দেয় এবং তোমার সেই থাপ্পড়ের জবাব দেওয়ার সাহস, শক্তি থাকার পরও যদি তুমি তাকে ক্ষমা করো তাহলে তুমিই প্রকৃত ইমানদার। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে হেদায়াত দান করুন।

No comments: