পৃষ্ঠাসমূহ

Friday, April 12, 2013

৭১ ও বর্তমান বাংলাদেশ। এদেশের স্বাধীনতার পিছনে মূল ভূমিকা কার?



১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয় এ দেশমুক্তিযুদ্ধ দেখার সেই সৌভাগ্য আমার হয়নিকারণ তখন আমি দুনিয়াতেই আসিনিকিন্তু বই পুস্তক হতে, লোক মুখে এবং বিভিন্ন মিডিয়া হতে স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কে কিছুটা হলেও অবগত হয়ছিসেই ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, এ দেশ কারো ভাষণ কিংবা ঘোষণার মধ্য দিয়ে স্বাধীন হয়নিস্বাধীন হয়েছে দীর্ঘ নয় মাস সম্মুখ যুদ্ধের মোকাবেলা করার পরএই দীর্ঘ নয় মাসে প্রাণ হারিয়েছ অনেক বাঙ্গালী অনেক মা-বোন হারিয়েছে তাদের সম্ভ্রম৩০ লক্ষ শহীদের বিনিময়ে এবং ২ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছেআমি মনে করি এই স্বাধীনতার প্রকৃত দাবীদার তারাই, যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলকিন্তু আমার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই শুনে আসছি বাংলাদেশের দু'টো দল তাদের মধ্যে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে এই দাবী নিয়েএকদল বলছে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষনেই স্বাধীনতার ঘোষনা দেওয়া হয়, আবার আরেক দল বলছে জিয়াউর রহমান কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র, চট্টগ্রাম থেকেই স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়প্রিয় পাঠকগণ, আপনারা বলুন দেশে কি এখনো মানুষ বোকা আছে? কারো ঘোষনা দেওয়ার মাধ্যমে কি একটি দেশ স্বাধীন হয়ে যায় এটা আপনারা বিশ্বাস করেনভাগ্য ভাল যে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানি জীবিত নাইকিংবা তার কোন ওয়ারিশ ও নাইথাকলে আজকের দিনে আমি মনে করি একমাত্র তার পরিবারই দাবী করতে পারতো যে, জেনারেল আতাউল গণি ওসমানী'ই দেশকে স্বাধীন করার পিছনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেনদেশবাসীর ভাবনা আমি জানিনা, আমার মনে হয় বর্তমান বাংলাদেশের এই প্রেক্ষাপটে এসে আমাদের সেই পুরোনো বিরোধ ভুলে গিয়ে যার যা কৃতীত্ব তাকে দেওয়া উচিতমুক্তিযুদ্ধে কম বেশি অনেকেই অবদান রেখেছএই মুহুর্তে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিলে দেখতে পাবেন অনেকে আছে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি অথচ তাদের নামে মুক্তিযোদ্ধা সনদ পত্র আছেমুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্য হয়েছেন অনেকেইআবার এও দেখবেন অনেক সত্যিকার মুক্তিযোদ্ধ আছে যাদের কোথার কোন রকম অন্তর্ভূক্তি নাইঅনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছেন এরকম মুক্তিযোদ্ধা বাংলাদেশে এখনো অনেক পাওয়া যাবেসুতরাং এই মুক্তিযুদ্ধ নিয়া বেশী ঘাটাঘাটি না করে দেশটা যেহেতু স্বাধীন হয়েছে এবার স্বাধীনতা রক্ষা করার পালা বর্তমানে আমরা এমন এক পরিস্থিততে আছি, মনে হয় না আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিকসকাল কর্ম লক্ষ্যে ঘর থেকে বের হলে চিন্তায় থাকতে হয় যে রাত্রে নিজ ঘরে ফিরতে পারবো কিনাকিছুদিন আগে বিরোধী দলীয় হরতাল চলছিলআমার চাচা আসছে কাতার থেকেউনাকে আনতে গেলাম রিক্সায় করে আর আসার সময় একটি সি.এন.জি. নিয়ে চলে আসছিলামতখন দুপুর ২ টাপুরো চট্টগ্রাম নগরী অতিক্রম করে ঘরেরকাছাকাছি আসতেই শুরু হল আক্রমণঅনেক বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করলামকিন্তু ততক্ষণে গাড়ী ভাঙ্গা হয়ে গেছেএই হচ্ছে আমাদের স্বাধীনতাহরতালের মধ্যে একজন রোগী হাসপাতাল নিয়ে যেতে যেতে পথেই মারা যাবে, তবু হাসপাতালে যেতে দেওয়া হবে নাএটাই আমাদের বহু কষ্টার্জিত স্বাধীনতাআমরা এর পরিত্রাণ চাইআমরা চাই নিজের মত করে বাঁচতে, নিজের মত করে চলতে এবং স্বাধীনভাবে ঘুরতে ফিরতেআমরা আর পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতে চাই নাআসুন এখনই সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একত্রিত হওয়ার

No comments: