পৃষ্ঠাসমূহ

Wednesday, April 24, 2013

সাভারের রানা প্লাজা নামক ভবন ধ্বস। আবারো বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম হল বাংলাদেশ।

গতকাল সাভারের রানা প্লাজা নামক ভবন ধ্বস। আবারো বিশ্ব মিডিয়ার শিরোনাম বাংলাদেশ। জীবিত উদ্ধার ১৪০০, আহত প্রায় হাজার খানেক আর মৃতের সংখ্যা ১৮০ ছাড়িয়ে গেছে।  বাংলাদেশ এরকম ঘটনা নতুন কিছু নয়। তাই এতে বিচলিত হওয়ারও কিছু নেই।
কারণ বর্তমানে বাংলাদেশে নিত্য নতুন বিল্ডার্স ও নিত্য নতুন ঠিকাদারের অভাব নেই। কন্ট্রাক্টরের সাথে থেকে কিছুদিন কাজ করার পর হয়ে যায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। এরকম বাংলাদেশে অহরহ প্রমাণ আছে। আর এসব ঠিকার এবং কিছু অসাধু স্বার্থান্বেষী ব্যবসায়ী অধিক মুনাফার লোভে শুধু ইমারত নয়, এরূপ বিভিন্ন স্থাপনায় তারা বিভিন্ন রকমের কারসাজি করে থাকে। একটি ইমারতের প্রদান খুঁটিগুলো যদি দুর্বল হয় তাহলে সেই ইমারত বেশিদিন টিকে থাকার কথাও না। ভবন মালিকরা কিংবা দেশের নিত্য নতুন ডেভেলপাররা আজকাল যেসব ইমারত নির্মাণ করছেন তাতে দেখা যায় যেখানে ১০০ টন রড দেওয়া প্রয়োজন সেখানে তারা ৬০ টন দিয়ে কাজ চালায়। এরকম সিমেন্ট, বালি মূলকথা ইমারত নির্মাণের প্রতিটি উপকরণেই তাদের এই কারসাজি থাকেই। এতে করে যদি কয়েকশ নয় কয়েক হাজার মানুষেরও প্রাণ চলে তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। আর যদি যায় আসতো অন্তত এই সাভারের রানা প্লাজা ভবনটি ধ্বসে পড়লেও তাতে এত প্রাণহানি হতো না। কারণ ভবনটি একদিনে কিন্তু ধ্বসে পড়েনি। ধ্বসে পড়ার আগেরদিন ফাটন পরিলক্ষন করে ভবনে কর্মরত এবং অবস্থান কারী সবাই। অনেকেরই সন্দেহ হয় এই ভবনটি নিয়ে। আর তাদের এই সন্দেহ দূর করতে মালিক পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয় সনাতনী পদ্ধতি। হুজুর ডেকে মিলাদ মাহফিল করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয় ভবনটি ভাল হয়ে গেছে। আর কোন অসুবিধা নেই। তারপরও বেশির ভাগ লোকই আসে সন্দেহ নিয়ে। শেষ রক্ষ হলো না অনেকেরই। লাশ হয়ে ফিরতে হলো অনেককে। এখনো অনেকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এখন শুনা যাচ্ছ নতুন করে আরো কয়েকটি ভবনে ফাটল ধরেছে। হয়তো এই ভবনগুলোর দশাও এই রানা প্লাজার মতোই হবে। কোন নিরাপত্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মনে হয় না। আমার মতে এসস্ত কুলাংগার ভবন মালিকদের এবং এসব ভবন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান কিংবা ঠিকাদারদের প্রকাশে গুলি করে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা উচিত। কারণ কয়েকজনের পকেট ভর্তি করতে কয়েকশ জনের প্রাণ নিয়ে যারা চিনিমিনি খেলে তাদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদন্ড ছাড়া অন্য কোন শাস্তির বিধান করলে আমার মনে হয়না এ সমস্যা বাংলাদেশ থেকে কখনো সমূলে উৎপাটন করা যাবে। প্রিয় পাঠকগণ সকলে যে যেভাবে পারেন, তাদের সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসুন। আর যারা দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন আল্লাহ যেন তাদের আত্মার শান্তি দান করেন এবং তাদেরকে জান্নাতবাসী করুক। যারা আহত অবস্থায় আছে তাদের জন্য অন্য কিছু দিয়ে না পারেন অন্তন তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন। আল্লাহ তুমি দয়ালু,  তুমির তাদের সহায় হও।



No comments: