পৃষ্ঠাসমূহ

Wednesday, May 1, 2013

বাঁশখালী ইকো পার্ক- প্রকৃতি প্রেমীদের প্রাণ জুড়ানোর মতো স্থান







বাঁশখালী সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিনোদন প্রেমিদের কথা চিন্তা করে ২০০৩ সালে এ ইকো পার্কটি প্রতিষ্ঠা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য জনাব জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। শুরুর দিকে তেমন কোন পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারেনি। যুগের আবর্তে আস্তে আস্তে চারিদিকে এই ইকো পার্কের নাম ছড়িয়ে পড়ায় ইদানিং বেশ ভিড় হচ্ছে পর্যটকদের।
এই ইকো পার্কটি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক পর্যটক আসে প্রতিদিনই। এই পার্কের চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা থাকায় পার্কের সৌন্দর্য্য দেখতে চমৎকার লাগে। ২০০৮ সালের অগাষ্ট মাসে আকর্ষিক প্রলয়ংকরী এক বন্যায়  ইকোর্পাকের বেশ কিছু স্থাপনা বিলীন হয়ে যায়। সরকারের সুনজর থাকলে এই ইকো পার্কটি হয়ে উঠতে পারে দক্ষিণ চট্টগ্রামের জন্য পর্যটকদের মিলনমেলা। শীতের দিনে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে আগত অতিথি পাখিদের কলকাকলি এবং বিনোদনপ্রেমীদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠে এ ইকোপার্ক। সে এক অন্যরকম দৃশ্য। এই পার্কে এখনো তেমন কোনো ভাল মানের খাবার দোকান গড়ে না উঠায় পর্যটকরা বিমুখ হয়ে পড়ে। তবে আশা করা যা অদূর ভবিষ্যতে এই পার্কে অসংখ্য খাবার দোকান ও প্রসাধনীর দোকান গড়ে উঠবে। কেননা যেখানেই পর্যটক সেখানেই কিছু বাড়তি আয়োজন থাকেই। এটিই আমাদের বাঙ্গালীয়ানা স্বভাব। এরই মধ্যে কিছু কিছু ছোট ছোট দোকান পেতে বসেছে স্থানীয় দোকানিরা। তবে পর্যটকদের সুদৃষ্টি যতেষ্ট পরিমাণে এই পার্কের দিকে পড়লে ব্যবসায়ীরাও এখানে বিনিয়োগ করতে অনাগ্রহ দেখাবে না। আশাকরা যা আগামী কয়েক বছরেই এই পার্কের জনপ্রিয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে। যারা এখনো দেখেননি কিংবা নাম শুনেননি তারা এক্ষুণি বেরিয়ে পড়তে পারেন এই ইকোপার্ক দেখার জন্য। সঙ্গে ভালমানের খাবার পানি রাখবেন। কেননা পাহাড় বেয়ে পথ চলা কিছুটা কষ্টকর বৈকি। তাই ঘন ঘন পিপাসা লাগাটা অস্বভাবাবিক কিছুই নয়। সুতরাং সবাইকে এই বাঁশখালী ইকো পার্ক দেখার আমন্ত্রণ রইল।

No comments: